'আইটেম ডান্স-ফোনে পর্নোগ্রাফি ধর্ষণের জন্য দায়ী', আরজেডি নেতার বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষোভে ফুঁসছে দেশ
- Published by:Shubhagata Dey
- news18 bangla
Last Updated:
দেশে কড়া আইন থেকেই কোনও লাভ নেই। তাতে আর যাই হোক ধর্ষণ রোখা নাকি সম্ভব নয়। আইটেম ডান্স, বিজ্ঞাপন, ফোনে ফোনে পর্নোগ্রাফিই ধর্ষণের মানসিকতা তৈরি করে, মত রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা এস তিয়ারির।
#নয়াদিল্লি: দেশে কড়া আইন থেকেই কোনও লাভ নেই। তাতে আর যাই হোক ধর্ষণ রোখা নাকি সম্ভব নয়। আইটেম ডান্স, বিজ্ঞাপন, ফোনে ফোনে পর্নোগ্রাফিই ধর্ষণের মানসিকতা তৈরি করে। এমনই মত রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা এস তিয়ারির। আর সেই কথাই তিনি জানিয়েছেন সাংবাদ মাধ্যমেও। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে দেশের বিভিন্ন মহলে।
মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের দুমকায় এক মহিলা ধর্ষিতা হয়েছেন। ১৭ জন মিলে মদ্যপ মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে। যে ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তোলপাড় চলছে। সাধারণের মতে, এমন ঘটনা বিরল। তারই মধ্যে RJD নেতার এই মন্তব্য আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। এস তিওয়ারী বলেন, "আদিবাসী এলাকায় ধর্ষণের কথা কেউ কল্পনা করতে পারত না। আইটেম ডান্স, বিজ্ঞাপন, ফোনে ফোনে পর্নোগ্রাফি মানুষের মধ্যে ধর্ষণের মানসিকতা তৈরি করে দিচ্ছে। ফলে আইন যতই কড়া হোক, তাতে লাভ নেই। ততদিন না এ সব বন্ধ হবে, ধর্ষণের মতো ঘটনাও বন্ধ করা সম্ভব নয়।"
advertisement

advertisement
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুমকার মুফাসিল থানা এলাকায় এক আদিবাসী মহিলা ধর্ষিতা হন। ১৭ জন মিলে মদ্যপ মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে। পাঁচ সন্তানের মা ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, ওইদিন রাত আট'টা নাগাদ বাজার করে তিনি স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় মাঝরাস্তায় ১৭ জন মদ্যপ তাঁদের পথ আটকান। ধর্ষিতা মহিলা জানিয়েছেন, একে একে সতের জন মিলে স্বামীর সামনেই তাঁকে ধর্ষণ করে। এখানেই শেষ নয়, মহিলার স্বামীকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
advertisement
এ ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। মহিলাকে মেডিক্যালের জন্য হাসপাতালে পাঠান হয়েছে।
view commentsLocation :
First Published :
December 10, 2020 2:22 PM IST