#পুনে: লকডাউনের জেরে এখন প্রায় সব কিছুই ডিজিট্যাল। বাজারহাট থেকে শুরু করে অফিসের কাজ, কেনাকাটা সবই চলছে অনলাইনে। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য স্কুল-কলেজেও তালা ঝুলছে। বাচ্চা থেকে বড় সকলেরই প্রাণ হাঁসফাঁস করছে এই অনলাইন ক্লাসের জ্বালায়। কিন্তু উপায় না থাকলে যা হয়! এ বার সেই অনলাইন ক্লাস করতে গিয়ে বিপদে পড়ল পুণে শহরের নাবালিকা। জুম অ্যাপে ক্লাস চলাকালীন অশ্লীল ও কুরুচিকর মেসেজের শিকার হল ওই তরুণী। ঘটনাটি পুনের ভোসারি পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারপর থেকেই ওই তরুণী অনালাইনে ক্লাসে অংশ নেওয়ার মানা করে।
সূত্রের খবর, পুলিশ জানিয়েছেন, তরুণী ক্লাস এইটের ছাত্রী। স্কুলের অনলাইন ক্লাস চলার সময় মেয়েটিকে জুম অ্যাপে অশ্লীল ও নোংরা ভাষার মেসেজ পাঠান এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। কিছু দিন পরে তাঁকে আত্মহত্যা করার জন্য উস্কানিমূলক মেসেজ পাঠান হয় বলে জানায় পুলিশ। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এই ঘটনাটি চলে। তারপরেই ওই তরুণীর মা এমআইডিসি ভোসারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মেয়েটির বাবা এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষকও তাদের ইমেল আইডিতে ওই তরুণীর সম্পর্কে নোংরা মেসেজ পেয়েছিলেন। এই ঘটনাগুলি ১৫ জুলাই থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে ঘটেছে।
অজ্ঞাত ব্যক্তি মেয়েটিকে মেসেজ করে লিখেছেন, "আমার লোকদের মধ্যে একজন তোমার বাড়িতে আসবে। তাঁর সঙ্গে তুমি চলে আসবে। নাহলে তোমাকে খুন করব। তুমি যদি না আসো তাহলে আমরা তোমাকে সুইসাইড করতে বাধ্য করাব"।
সিনিয়র তদন্তকারী একজন পুলিশ অফিসার সায়াজি গাওড়ে জানান, "এই ঘটনা তিন মাস ধরে চলছিল। তারপরে ওই মেয়েটির বাবা-মা জুম অ্যাপটি আনইনস্টল করে দেয়। কিন্তু কিছু দিন আগে ওই তরুণী ফের গুগলের মাধ্যমে মেসেজ পায়। তখন স্কুলের প্রধান শিক্ষকও একই মেসেজ পেয়ে মেয়েটির বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে সতর্ক থাকতে বলে"।
স্কুলের অন্যান্য বাচ্চাদের এবং তাঁদের পরিবারকে স্কুল কমিটির পক্ষ থেকে সতর্কতার নোটিশ জারি করা হয়েছে। পুলিশ এখনও এর তদন্ত করছেন। কে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি, তিনি কেনই বা মেয়েটিকে বারবার জ্বালাতন করছিলেন সেই সব রহস্য খুঁজে বার করার জন্য পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছেন।