#নাগপুর: ৬৫ বছরের প্রাক্তন স্বামীর যৌন চাহিদা ছিল প্রায় অত্যাচারের সমান। তার সঙ্গে ছিল আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার হুমকিও। থাকতে না পেরে বছর তিরিশের স্বাতী মালিক যৌনতাকেই টোপ হিসেবে ব্যবহার করে হত্যা করলেন লক্ষ্মণ মালিককে। পুলিশের জেরার মুখে নিজের অপরাধের কথা কবুল করে নিয়েছেন স্বাতী।
নাগপুর পুলিশ জানিয়েছে যে ৮ মার্চ গণেশপেটের রজত সঙ্কুল কমপ্লেক্সের ফ্ল্যাটে লক্ষ্মণকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর হাত ছিল একটা হাতকড়া দিয়ে পিছমোড়া করে বাঁধা, একটা চেয়ারে বসানো ছিল ওই অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ। ঘাড়ে ছিল অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। ফলে, তিনি যে খুন হয়েছেন, সেই নিয়ে পুলিশের মনে কোনও সন্দেহ ছিল না।
সমস্যাটা দেখা দেয় অন্যত্র। লক্ষ্মণের খুনের কিনারা করতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জালে নিজেদেরই জড়িয়ে ফেলেছিল পুলিশ। কেন না, মৃতের চার স্ত্রী পরস্পরকে এবং সতীনের ছেলেদের এই কাজের জন্য দায়ী করে চলেছিলেন। এঁদের মধ্যে স্বাতী ছিলেন লক্ষ্মণের চতুর্থ স্ত্রী। তাঁদের একটি ৮ বছরের পুত্রসন্তানও আছে।
জানা গিয়েছে যে ২০১১ সালে ESIC হাসপাতাল থেকে অবসর নেন লক্ষ্মণ। এর পরে তিনি একটা রিয়েল এস্টেট এজেন্সি খুলেছিলেন। সেখানেই কাজ করতে আসেন স্বাতী। তার পর শারীরিক সম্পর্ক এবং সেখান থেকে বিয়েটা হয়। যদিও ২০১৮ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর পর আরেকটা বিয়ে করেন স্বাতী, এটি তাঁর তৃতীয় বিয়ে। তৃতীয় স্বামীর কাছ থেকে একটি পুত্রসন্তানও লাভ করেন তিনি।
স্বাতীর দাবি, লক্ষ্মণ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেননি। লক্ষ্মণের পেনশনের টাকা তিনি উপভোগ করতেন, তাই প্রাক্তন স্বামী মাঝে মাঝেই তাঁর কাছ থেকে যৌন সুবিধা আদায় করতেন। স্বাতী পরের দিকে বেঁকে বসায় লক্ষ্মণ তাঁকে নিজের অ্যাকাউন্টের ATM কার্ড ফেরত দিতে বলেন এবং ওই আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার হুমকি দেন। এর পরেই লক্ষ্মণকে খুন করার কথা ভাবেন তিনি।
স্বাতী পুলিশকে জানিয়েছেন যে ঘটনার দিন তিনি লক্ষ্মণের অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছিয়ে পর্নোগ্রাফির সাহায্যে প্রাক্তন স্বামীকে প্রলোভিত করে তোলেন। লক্ষ্মণ BDSM উপভোগ করতে চাইলে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হাতকড়া দিয়ে তিনি চেয়ারের সঙ্গে পিছমোড়া করে তাঁর হাত বেঁধে দেন। এর পর রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়ে এসে ক্রমাগত আঘাত করে চলেন লক্ষ্মণের ঘাড়ে। তাঁর মৃত্যু হলে তিনি ফ্ল্যাট ছেড়ে বেরিয়ে যান।
অবশ্য প্রথমে পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাননি স্বাতী। তিনি ঘটনার দিন গোকুলপেট থেকে গণেশপেট পর্যন্ত ক্যাব বুক করেছিলেন, এটা জানা যায়। এটাও পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে যে ওই দিন দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। এই দুই তথ্য পুলিশের মনে সন্দেহের জন্ম দেয় এবং অবশেষে জেরার মুখে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন স্বাতী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Murder, Nagpur, Pornography