তেলেঙ্গনা ধর্ষণকাণ্ড: লাগাতার অত্যাচারে আর্তনাদ চিকিৎসকের, বন্ধ করতে মদ ঢেলে মুখ চেপে ধরে ধর্ষকেরা
Last Updated:
#হায়দরাবাদ: তেলেঙ্গনায় লাগাতার অত্যাচারে যন্ত্রণায় আতর্নাদ করতে থাকা চিকিৎসক তরুণীর চিৎকার বন্ধ করতে মুখে হুড়হুড় করে মদ ঢেলে দিয়ে চেপে ধরে চার ধর্ষক ৷ অভিযুক্তদের হাতের পাঞ্জার চাপে ছটফট করতে করতে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তরুণী ৷ তাঁর দেহ নিথর হয়ে যাওয়া পর্যন্ত মুখ থেকে হাত সরাননি অভিযুক্তেরা ৷ তেলেঙ্গনা ধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্তদের জেরা করে এমনই শিউরে ওঠা তথ্য পেয়েছে পুলিশ ৷
দিল্লির নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল হায়দরাবাদে। তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারায় অভিযুক্ত ৪ যুবকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ ফরেনসিকের। নির্যাতিতার বাড়িতে মহিলা কমিশন। ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ। বিক্ষোভে সামিল এরাজ্যেও।
ক্লিনিক থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্কুটি খারাপ হয়ে যায়। টোলপ্লাজার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন পশুচিকিৎসক তরুণী। পাশের দোকানে সাহায্য চাইতেও যান । পরে সেখান থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে মিলেছে তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ। ধর্ষণ করে খুনের পর তরুণীর দেহ পুড়িয়ে ফেলে অভিযুক্তরা।
advertisement
advertisement
গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত লরি চালক মহম্মদ আরিফ, জুল্লু নবীন, জল্লু শিবা এবং চিন্তাকুনটা চেন্নাকেশাভুলু। তদন্তে নেমেই চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ জেরাতেই উঠে আসে পাশবিক ধর্ষণকাণ্ডের নৃশংসতার এক একটি তথ্য ৷ জেরায় অভিযুক্তেরা জানিয়েছে, ধর্ষণ চলাকালীন নির্যাতিতা চিকিৎসকের আর্তনাদ বন্ধ করতে মূল অভিযুক্ত জুল্লু নবীন তাঁর মুখে মদ ঢেলে দেয় ৷ সঙ্গে সঙ্গে চেপে ধরা হয় মুখও ৷ তরুণী নিথর হয়ে যাওয়ার পর ট্রাকে করেই মৃতদেহ হায়দরাবাদের অদূরে চাতানপল্লির কাছে একটি কালভার্টের নীচে নিয়ে গিয়ে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ৷ দেহ পোড়াতে ওই চিকিৎসক তরুণীর স্কুটি থেকেও বের করে নিয়ে আসা হয়েছিল ডিজেল ৷
advertisement
এক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি, তরুণীর সঙ্গে দুজন যুবক এসে স্কুটিটি নিয়ে যায়। তরুণীও তাদের সঙ্গেই ছিলেন। সম্ভবত তাঁরা স্কুটি সারিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। স্কুটি সারাতে পাশের একটি দোকানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও বোনকে জানান ওই তরুণী। তারপরেই তাঁর মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়।
তন্দুপল্লী টোলপ্লাজা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে শাদনগরে তরুণীর অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ মেলে। ঘটনায় অভিযুক্ত ২ ট্রাকচালক সহ ৪ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
advertisement
খোদ সাইবারবাদ টোলপ্লাজার কাছে এই নৃশংস ঘটনা। যা প্রকাশ্যে আসতেই চাপে পড়ে কেসিআর প্রশাসন। মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, ওই তরুণী নিজের বোনের পরিবর্তে ১০০ নম্বরে ফোন করলে এই ঘটনা এড়ানো যেত।
মেহবুবনগরের ফার্স্ট ট্রাক কোর্টে এই মামলা স্থানান্তরের জন্য আবেদন করছে পুলিশ। পুলিশ কমিশনারের আশ্বাস, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ হাতে এসেছে। এমন ঘটনা রুখতে সন্ধের পর পেট্রোলিং ভ্যান নামিয়ে টহলদারি চলবে বলে ঘোষণা সাইবারাবাদ পুলিশের।
view commentsLocation :
First Published :
December 01, 2019 9:31 PM IST