ছোলার বেসনে মিশছে বস্তা বস্তা ধানের তুষ ! গ্রেফতার ভেজাল কারবারি
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিসি বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, "ধৃত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ভেজাল খাদ্য বিক্রি করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতকে বুধবার আদালতে পেশ করা হবে।"
#কলকাতা: মশলার পর এবার শহরে ভেজাল বেসন কারখানার হদিস। চিৎপুর এলাকায় ভেজাল কারখানায় হানা দিল কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। মঙ্গলবার ওই কারখানার মালিক অতীশ সাউকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রচুর ভেজাল বেসন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সামনে থেকে গম ভাঙিয়ে আটা তৈরি করে বিক্রি করার ব্যবসা দেখাতো অতীশ। কিন্তু তার আড়ালেই সে এই ভেজাল বেসন বিক্রির কারবার চালাতে বলে জানা গিয়েছে।
এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই কারখানা থেকে ভেজাল বেসন বিক্রির অভিযোগ আসছিল। সেই সূত্রেই গোপনে নজরদারি চালানো হচ্ছিল ওই কারখানায়। ধানের তুষের সঙ্গে নিম্নমানের ছোলার ডাল মিশিয়ে ভাঙ্গানো হত মেশিনে। তাতেই তৈরি হতো ভেজাল বেসন। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের এক অফিসার বলেন, "৭০% নিম্নমানের ছোলার ডালের সঙ্গে ৩০% ধানের তুষ মেশানো হত। তারপর তা ভাঙানো হত মেশিনে। ভাঙ্গানোর পরে বস্তায় ভরে বিক্রি করে দেওয়া হত পাইকারি ও খুচরা বাজারে। সেই বেসনই পৌঁছে যেত মানুষের ঘরে ঘরে।"
advertisement
advertisement

এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর, ভেজাল বেসন কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৩৪ বস্তা চালের খুদ, ১৫ বস্তা ছোলার ডাল, ২০ বস্তা ভেজাল বেসন মিলেছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া ভেজাল বেসনের নমুনা পাঠানো হয়েছে ফুড ল্যাবে। কতটা নিম্নমানের ভেজাল বেসন বিক্রি করা হচ্ছিল তা জানার জন্যই নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষাগারে।
advertisement
এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিসি বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, "ধৃত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ভেজাল খাদ্য বিক্রি করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতকে বুধবার আদালতে পেশ করা হবে।"

ধৃত অতীশকে জেরা করে এই ভেজাল চক্রের কারবার সম্পর্কে জানতে চায় পুলিশ। কলকাতার কোথায় কোথায় এই ভেজাল সামগ্রী বিক্রি করা হত এবং কারা কারা এই চক্রে জড়িত তা জানারও চেষ্টা করা হবে।
advertisement
সুজয় পাল
view commentsLocation :
First Published :
June 02, 2020 9:30 PM IST