#নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের কালবেলার (Coronavirus In India) মধ্যেই নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus) বা মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis)। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে বিরাট ভুয়ো ইঞ্জেকশন ও ভুয়ো ওষুধ কারবারের হদিশ পেল ক্রাইম ব্রাঞ্চের (Delhi Crime Branch) অফিসারেরা। ইতিমধ্যেই বিপুল পরিমাণে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত লাইপোসোমাল অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি ইঞ্জেকশন ও ৩,২৯৩ টি ভুয়ো ইঞ্জেকশন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ১০ জনকে। ধৃতদের মধ্যে ২ জন চিকিৎসক রয়েছেন। ডাক্তারের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে ভুয়ো সরঞ্জাম। দক্ষিণপূর্ব দিল্লিতে ডক্টর আলতামাস হুসেইনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এই ভুয়ো সরঞ্জামগুলি।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন নিজামউদ্দিন পশ্চিম এলাকায় তল্লাশি শুরু করার পরই বিপুল পরিমাণে ভুয়ো ওষুধ ও ভুয়ো ইঞ্জেকশন উদ্ধার করা গিয়েছে। দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিসিপি মনিকা ভরদ্বাজ বলেছেন, 'উদ্ধার হওয়া বেশিরভাগ ইঞ্জেকশনই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগের চিকিৎসায় লাগে। বেশ কয়েকটি রেমডিসিভির ইঞ্জেকশনও রয়েছে। এগুলির বেশিরভাগই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া।'
উদ্ধার হওয়া একাধিক লাইপোসোমাল অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি ইঞ্জেকশন আসলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই রোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নাক, চোখ, সাইনাস ও কখনও কখনও মস্তিষ্কের একটা বড় অংশ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই করোনা থেকে সেরে ওঠার পর দেশে বহু ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাস আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এইচআইভি এইডস বা ডায়াবিটিস আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে এই রোগে।
এই জালচক্রে জড়িত প্রত্যেকের কর্মস্থল যাচাই করা হচ্ছে, ধৃত চিকিৎসকদেরও ডিগ্রি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত ৭ জুন দিল্লি সরকারের ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের কাছে ভুয়ো ইঞ্জেকশন নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তখন থেকেই তদন্ত শুরু করেছিল দিল্লি পুলিশ। এই দলের কাছ থেকে প্রায় ৪০০টি ভুয়ো ইঞ্জেকশন পাওয়া গিয়েছে। একেকটি ইঞ্জেকশন ২৫০ থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করত ধৃতরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Black Fungus, Crime, Delhi