প্রথমে ধর্ষণ, পরে খুন! ১০ বছরের নাবালিকার ক্ষত-বিক্ষত দেহ মিলল আলমারির ভিতর থেকে
- Published by:Somosree Das
- news18 bangla
Last Updated:
ওই অঞ্চলে তল্লাশি করার পর একটি তিন তলা বাড়ির আলমারির ভিতর দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ওই কিশোরীর ক্ষত-বিক্ষত দেহ পুলিশ খুঁজে পায়।
#হরিদ্বার: দশ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে আজ, সোমবার গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সন্ধ্যায় উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারে। বাড়ির কাছে খেলতে বেরিয়েছিল বাচ্চা মেয়েটি। কিন্তু বাড়ি ফিরছে না দেখে বিকেল তিনটের পর নিখোঁজ হওয়ার রিপোর্ট লেখায় মেয়েটির পরিবার। তল্লাশি চালানোর পর মেয়েটির দেহ পাশের ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
ওই অঞ্চলের এক পুলিশ আধিকারিক কমলেশ উপাধ্যায় জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় ঋষিকুল কলোনি থেকে ওই নাবালিকার নিখোঁজের রিপোর্ট লেখান তাঁর বাবা-মা। তারপরেই পুলিশ জোরদার তল্লাশি শুরু করেন। ওই অঞ্চলে তল্লাশি করার পর একটি তিন তলা বাড়ির আলমারির ভিতর দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ওই কিশোরীর ক্ষত-বিক্ষত দেহ পুলিশ খুঁজে পায়। মূল অভিযুক্ত ও তাঁর এক বন্ধু বাড়িটি থাকার জন্য ভাড়া নিয়েছিল। ময়না তদদন্তের পর উভয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ঋষিকুল কলোনির বাসিন্দা মূল অভিযুক্ত রামতীর্থ যাদবকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং অন্য আরেকজন অভিযুক্ত রাজীব, পালিয়ে গিয়েছে। তাকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ একটি দল গঠন করেছে।
advertisement
পুলিশের আর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা মেয়েটিকে খেলনা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ঘরে নিয়ে যায় । তারপরেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এমনকী যাতে কোনওভাবে পুলিশের সন্দেহ তাদের উপর না পরে, সে কারণে অভিযুক্ত দুই যুবকও মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়ার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। কলোনির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানোর পর শেষ পর্যন্ত তাদের ঘর থেকেই নাবালিকার দেহ পাওয়া যায় । পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
advertisement
advertisement
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয়রা দু’জন অভিযুক্তকে ফাঁসি দেওয়ার দাবিতে বাড়ির কাছে একটি দু’চাকার গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও ঘটনাস্থলে এসে মৃত নাবালিকাকে শ্রদ্ধা জানান। স্থানীয় বিধায়ক স্বামী ইয়েতশ্বরানন্দও ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। সিং জানান, আসামির বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি অনুযায়ী ৩৭৬(ধর্ষন), ৩০২(হত্যা), ৩৬৩(অপহরণ) এবং শিশু নির্যাতন থেকে শিশু সুরক্ষা বিভাগের অন্তর্গত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
view commentsLocation :
First Published :
December 21, 2020 9:35 PM IST

