‘তিনদিন কিছু খায়নি বাবু, এবার তো মনে হয় বাড়িতেই মরে পড়ে থাকব’-লকডাউনে এঁদের পেটেই এখন লকডাউন
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
যে কদিন পেয়েছেন খাবার খাইয়েছেন, এখন আর সেটাও নেই
#রাঁচি: তিন দিন ধরে চন্দ্রাবতী দেবী মুখে একটা দানাও পাননি ৷ শুধু তিনি নন তাঁর পরিবারের আট জন তিন ধরে না খেয়ে রয়েছেন ৷ লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই ঝাড়খণ্ডের গ্রামে গ্রামে এখন এটাই ছবি ৷ এখন তাঁরা এটাও ভয় পাচ্ছেন এভাবে খেতে না পেয়ে থাকতে থাকতেই একদিন তাঁরা মারা যাবেন , কেউ খোঁজ নেওয়ার থাকবে না ৷
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা বাইরে গিয়ে ভিক্ষা করতেও যেতে পারছি না ৷ আমাদের বাচ্চাদের খাওয়াতে আমাদের যা জমানো ছিল শেষ হয়ে গেছে ৷
কোরকোমা গ্রামের চন্দ্রাবতী দেবী দিন মজুরের কাজ করতেন ৷ সামনের একটি ইঁটভাটাতেই কাজ করতেন তিনি ৷ নোভেল করোনা ভাইরাসের দাপটে দেশ লকডাউনের এক সপ্তাহ আগে থেকেই কাজ বন্ধ তাঁর মতো অনেকেরই ৷
advertisement
advertisement
বাড়িতে আর কোনও খাবার নেই৷ কেন্দ্র বা রাজ্য কারোর সাহায্যই এখনও এসে পৌঁছয়নি ৷ বাড়িতে তিন জনের রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও হয়নি সুরাহা ৷ কখনও কখনও কোনও প্রতিবেশী সামাণ্য কিছু দিয়ে গেলে তাই তুলে দিচ্ছেন বাড়ির ছোটদের মুখে ৷
ঝাড়খণ্ডে এখনও অবধি করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ আর এই মারণ রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের সময় বহু পরিবার না খেয়ে লড়াই করছেন ৷ News18 এ র অন্তর্তদন্তে উঠে এল দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াইয়ের এই ছবিটা ৷
advertisement
এই পরিবারের থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে আরেক পরিবারে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হানা দিয়েছে ৷ ৬৫ বছরের সোমারিয়া দেবী -র মৃত্যু হয়েছে এর মধ্যেই ৷ পরিবার জানাচ্ছে না খেতে পেয়েই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে ৷ গারওয়া জেলার ভান্ডারিয়া গ্রামে সোমারিয়া দেবীর স্বামী এখনও বেঁচে আছেন ৷ ৭২ বছরের এই বৃদ্ধের কোনও সন্তান নেই ৷ কোনও রোজগার নেই, নেই কোনও সরকারি স্কিমে নামও৷ কাছের একটি গ্রামে ভাইপো এতদিন এসে বৃদ্ধ-বৃদ্ধার খোঁজ নিয়ে যেতেন ৷ খাবার দিয়ে যেতেন এখন তাও বন্ধ৷
advertisement
তবে সোমারিয়া দেবী-র মৃত্যুর খবর পেয়ে যখন আত্মীয় বিনোদ নিজের বাড়ি থেকে এখানে আসেন , তখন প্রশাসনকে এই বৃদ্ধের অবস্থা জানান ৷তারপর মেলে ১০ কেজি চাল ও ৬ হাজার টাকা ৷
view commentsLocation :
First Published :
Apr 12, 2020 1:39 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
‘তিনদিন কিছু খায়নি বাবু, এবার তো মনে হয় বাড়িতেই মরে পড়ে থাকব’-লকডাউনে এঁদের পেটেই এখন লকডাউন







