বাসে কুড়ি জনের জায়গায় ৩০-৪০ জনের বেশি যাত্রী, পরিষেবা শুরুর প্রথম দিনেই সামাজিক দূরত্ব শিকেয়

Last Updated:

প্রথমটা ২০ জন যাত্রী নিয়ে গেলেও,তার পরে যত গুলি বাস বেরিয়েছে, গড়িয়া ডিপো থেকেই সেগুলিতে ৩০ জন ৪০ জন যাত্রী জোর করে উঠে পড়ে ।

#কলকাতা্:   পরিকল্পনাহীন শহর কলকাতা।সেই শহরে লকডাউন করলে,রাস্তায় পুলিশ নামলেই যে সফল হবে,সেই চিন্তা একদম বাস্তবের সঙ্গে মিলবে না।সেই কারণে কলকাতার মত শহরে,রীতিমত বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনকে।মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে ভয় থাকলেও, উপায় নেই।লক্ষ লক্ষ মানুষ এই শহরে ১০০ স্কোয়ার ফিট ঘরে ৬-৭ জন মিলে বাস করে।তারা কোনো দিন ভাবেনি, সারা দিন ঘরে থাকতে হবে।ঘুমোনোর সময় ছাড়া সত্যি ঘরের ভেতর থাকা সম্ভব না তাদের ।যার ফলে রাস্তায় লোক নামছে প্রতিনিয়ত।
বুধবার থেকে লক ডাউনের মধ্যে বাস চলাচল শুরু হল । কলকাতা, হাওড়া ,ব্যারাকপুর,বারাসত, মিলিয়ে মোট ১৫ টি রুটে বাস চালানোর কথা ঘোষণা করে রাজ্য। বাসে ২০ জনের বেশি যাত্রী তোলা যাবে না।এটা সরকার থেকে বিধি নির্ধারণ করে দিয়েছে । কিন্তু বাস্তব চিত্রটা ছিল অন্যরকম৷ দেখা গেল আজ সকাল থেকে প্রতিটি বাস ডিপোতে শ'য়ে শ'য়ে বাস যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে। বাস ধরতে বেশির ভাগ যাত্রী কেউ,সাইকেল,মোটর সাইকেল,বা হেঁটে ২০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা পার হয়ে এসেছে ।
advertisement
সকাল ৮টা নাগাদ গড়িয়া ৫ নম্বর ডিপো থেকে হাওড়া গামী প্রথম বাস বেরোয় হাওড়ার দিকে। প্রথমটা ২০ জন যাত্রী নিয়ে গেলেও,তার পরে যত গুলি বাস বেরিয়েছে, গড়িয়া ডিপো থেকেই  সেগুলিতে ৩০ জন ৪০ জন যাত্রী জোর করে উঠে পড়ে । কারণ সকাল থেকে ওই ডিপো থেকে পাঁচটি গাড়ি চলার কথা সাধারণ যাত্রীদের জন্য। তাহলে পাঁচটি গাড়ি একশ যাত্রী নিয়ে যেতে পারবে। সকাল থেকে লাইনে পাঁচশ থেকে ছয়শ যাত্রীর ভিড়। যার জন্য ঠেলা ঠেলি ধাক্কাধাক্কি এসব তো চলছিল।
advertisement
advertisement
বাস গুলো ডিপো থেকে ছাড়ার পর সমস্ত দরজা লাগিয়ে হু হু করে ছুটতে থাকে গন্তব্যের দিকে। রাস্তায় অপেক্ষারত মানুষ আর বাসে উঠতে পারেননি। অর্থাৎ সমস্যা সমস্যতেই রয়ে গেল।   যারা বাসে জোর করে উঠেছিল, তাদের বক্তব্য অনেকক্ষণ অন্তর বাস যাওয়ার জন্য সাধারণ যাত্রীরা হয়রানিতে পড়ছে। সরকারের উচিত বাসের সংখ্যা বাড়ানো। নইলে একই বাসের মধ্যে গাদাগাদি করে যাবে যাত্রীরা। এতদিন যে আশঙ্কায় লকডাউন চলছিল, সেই আশঙ্কা প্রকট হয়ে দেখা দেবে।
advertisement
অর্থনীতিবিদরা বলছেন দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখতে গেলে পরিবহন ব্যবস্থা কিছুটা হলেও শ্লথ করতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা না ভেবে এবং জনস্বাস্থ্যের কথা এবং মহামারীর কথা মাথায় না রেখে যদি শহরকে সচল করা হয় ,তাহলে মহামারী আরও ভয়ঙ্কর রূপে দেখা যাবে কলকাতাতে।    চিকিৎসকদের বক্তব্য অনুযায়ী, জুন এবং জুলাই মাসে করোনা সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে।এর আগে চিকিৎসকরা বলছিলেন ,মে মাসে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে, তারপর থেকে আস্তে আস্তে কমবে করোনা সংক্রমণ। ডাক্তাররা এখন সেই সীমানাকে জুন-জুলাইয়ে নিয়ে গেছে।   এখনও যদি সামাজিক দূরত্ব না মানে ও মাস্ক ব্যবহার না করে,তাহলে এরাজ্যের কিংবা এই দেশের পরিণতি আরো খারাপের দিকে যাবে বলে ধারণা চিকিৎসকদের।একই বাসে রোগী থেকে আরম্ভ করে সবাই যাচ্ছেন।একই কণ্টিনে খেয়ে যেখানে ৩৮ জন সি আই এস এফ জওয়ান করোনা আক্রান্ত হতে পারে,সেখানে এই ভাবে যাত্রীরা গেলে, কত জন সংক্রামিত হবে! সেই ভেবে কপালে ভাঁজ প্রশাসনের।
advertisement
Shanku Santra
view comments
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
বাসে কুড়ি জনের জায়গায় ৩০-৪০ জনের বেশি যাত্রী, পরিষেবা শুরুর প্রথম দিনেই সামাজিক দূরত্ব শিকেয়
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement