#নয়াদিল্লি: ফাইজারের তরফে আগেই আবেদন জানানো হয়েছিল। এ বার করোনা-যুদ্ধে আরও এক বড় পদক্ষেপ। দেশে ভ্যাকসিন আনতে প্রথম দেশীয় সংস্থা। রবিবার ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (Drug Controller General of India) কাছে আবেদন জানাল সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া । এ ক্ষেত্রে, প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের প্রয়োজনীয়তা ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখে শীঘ্রই দেশের বাজারে Oxford COVID-19 ভ্যাকসিন আনার দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি।
আগেই ব্রিটেন ও বাহরাইনে (Bahrain) অনুমতি মিলেছিল। জানা গিয়েছে, এই সপ্তাহ থেকেই ব্রিটেনের বাজারে করোনার টিকা নিয়ে আসছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজার। এর পরই ভারতে এই ভ্যাকসিন আনার জন্য দাবি জানায় সংস্থাটি। আর ফাইজারের এই আবেদন জানানোর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার একদিনের মধ্যেই দেশের বাজারে Oxford COVID-19 ভ্যাকসিন আনার জন্য আবেদন জানায় সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের (ICMR) সহযোগিতায় বর্তমানে Oxford COVID-19 ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। এই ট্রায়ালে ভূমিকা নিয়েছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। পরীক্ষামূলক প্রয়োগও অনেকাংশে সফল। ICMR-এর মতে, ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের ৪০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করে ফেলেছে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা।
সূত্রে খবর, ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া আবেদনপত্রে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ব্রিটেনের দু'টি ও ভারত এবং ব্রাজিলের একটি করে মোট চারটি ক্লিনিকাল স্টাডিজে দেখা গেছে কোভিশিল্ড (Covishield) ভ্যাকসিন অনেকটাই নিরাপদ ও সুরক্ষিত। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে এটি। তা ছাড়া এই ভ্যাকসিন অনেকটাই সহনীয়। অর্থাৎ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম, ভ্যাকসিনকে মানবশরীরে প্রয়োগ করা গেলে তা সহ্য করতে পারবেন আক্রান্তরা। তাই দেশের মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিনটিকে যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা যাবে।
সূত্রে খবর, পরীক্ষা ও অনুমোদন পাওয়ার জন্য কসৌলির সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরিতে ভ্যাকসিনের ১২টি ব্যাচও জমা দিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এই ভ্যাকসিনগুলি দেশের নানা প্রান্তের মানুষের উপরে প্রয়োগ করা যাবে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা । তবে আবেদনে অনুমোদন মিলবে কি না, এখন সেটাই দেখার!