#কলকাতা: এবার কি স্কুল সার্ভিস কমিশন মারফত স্কুলগুলিতে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের তৎপরতা বাড়ছে? অন্তত এমনটাই জল্পনা শুরু হয়েছে।সম্প্রতি করোনাভাইরাস রুখতে স্কুল সার্ভিস কমিশনে বসানো হয়েছে স্যানিটাইজার টানেল। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই জল্পনা শুরু হয়েছে তাহলে কি এবার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে চলেছে এসএসসি?
ইতিমধ্যেই উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও পর্যন্ত হাইকোর্টের বিচারাধীন। যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আর্জি রাখা হয়েছে যাতে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের স্থগিতাদেশ সংক্রান্ত মামলার দ্রুত শুনানি শুরু করা যায়। তবে এসএসসির আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট দ্রুত শুনানি করবে নাকি সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত হাইকোর্টের তরফে কোনও সবুজসংকেত পাইনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। যদিও উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার পাশাপাশি আরও একাধিক নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও পর্যন্ত ঝুলে রয়েছে। সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সহ একাধিক নিয়োগ প্রক্রিয়া এসএসসির হাতেই। তাই এবার সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া গুলিকে কি গতি আনতে চলেছে অন্তত এমনটাই জল্পনা এসএসসি সূত্রে।
উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের দাবি নিয়ে লকডাউন চলাকালীন বিভিন্ন পদ্ধতিতে আন্দোলন শুরু করেছেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। বাড়ি থেকে বসেই কখনও মুখ্যমন্ত্রী বা শিক্ষামন্ত্রীর ফেসবুক পেজে পোস্ট করে দ্রুত নিয়োগের দাবি, আবার কখনও ফেসবুক লাইভ করে বা ব্লকে ব্লকে দেওয়াল লিখে দ্রুত নিয়োগের আবেদন জানিয়ে আসছে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনে গতি বাড়ানোর জন্য এবার হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কেউ পিটিশন জমা দিতে তোড়জোড় শুরু করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
গত চার বছর হতে চলল উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যত থমকে রয়েছে। একাধিক আইনি জটিলতায় নিয়োগ-প্রক্রিয়া দেরি হচ্ছে বলেই দাবি করছেন এসএসসির আধিকারিকরা। গত বছরের পূজোর ঠিক আগে উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ করলেও সেই মেধাতালিকা ঘিরেই একাধিক অস্বচ্ছতা ও গরমিলের অভিযোগ এনেছেন আবেদনকারীরা। সেই অভিযোগেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন একাধিক চাকরিপ্রার্থী। লকডাউন এর আগে আগে সেই মামলার শুনানি পর্ব অনেকটাই এগিয়েছে বলে দাবি এসএসসির আধিকারিকদের। কিন্তু লকডাউন এর জন্য সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেকটাই পিছিয়ে যাচ্ছে। স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্য পদ রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে।
চলতি সপ্তাহেই এসএসসির কেন্দ্রীয় দফতরে বসেছে স্যানিটাইজার টানেল। যদিও এর আগেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সহ একাধিক সরকারি দফতরে ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস রুখতে বসানো হচ্ছে স্যানিটাইজার টানেল। তবে এসএসসি অফিসে স্যানিটাইজার টানেল বসানোর সঙ্গে সঙ্গেই জল্পনা শুরু হয়েছে তাহলে এবার নিয়োগের তৎপরতা বাড়াচ্ছে কমিশন? তবে কমিশনের আধিকারিকদের দাবি বিভিন্ন সময়ই বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিক ব্যক্তি আসেন। কমিশনের ভেতরে প্রচুর কর্মী কাজ করেন। তাই তাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই স্যানিটাইজার টানেল বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
Somraj Bandopadhyay
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona, Corona outbreak, Corona state lock down, Coronavirus, Sanitizing tunnels installed, School Service Commission, SSC office