Pre and Probiotics: প্রি এবং প্রোবায়োটিক কী, রোগ প্রতিরোধে কী ভাবে কাজ করে?
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
অন্ত্রে থাকা অণুজীবরা শুধু মানুষ নয়, অন্য প্রাণীদেহের বেশির ভাগ শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে ৷
কলকাতা: করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে চিকিৎসকরা প্রথম থেকেই সতর্ক করে চলেছেন। বিশেষ করে শিশুদের জন্য বেশি সতর্ক হতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে শিশুরা মায়ের দুধের থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ পুষ্টি পেয়ে থাকে। এমনকী প্রথম পর্যায়ে রোগ প্রতিরোধের জন্য মায়ের দুধ যথেষ্ট কাজ করতে পারে না বরং শিশুর অন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীব রোগ প্রতিরোধের শক্তি বাড়ায়। এই প্রক্রিয়াকেই শিশুটির প্রথম প্রিবায়োটিক (Prebiotics) শট বলা হয়।
অন্ত্রে থাকা অণুজীবরা শুধু মানুষ নয় অন্য প্রাণীদেহের বেশির ভাগ শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে, যেমন মস্তিষ্ক, ফুসফুস-সহ আরও কিছু অঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বলে গবেষকরা মনে করেন। একশো বছর আগে মেটচিনকোফ (Metchinkof) নামে বুলগেরিয়ান (Bulgarian) বিজ্ঞানী বলেছিলেন যাঁরা আচার এবং দইকে খাদ্য তালিকায় রাখেন তাঁরা দীর্ঘজীবী হতে পারেন। তবে এই মতবাদ অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার হওয়ার আগের। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এই মতবাদ কতটা উপযুক্ত?
advertisement
Ajoy Prabhu, Co-Founder & CTO, Circee Health Pvt. Ltd.advertisement
মানবদেহে খাদ্য গ্রহণ ও পাচন প্রক্রিয়ার পর তা মানব কোষে চালিত হয় এবং শরীরে পুষ্টির কাজে আসে। আর বাদ বাকিটা অন্ত্রের অণুজীবদের শক্তিশালী করে তোলে। এর ফলে বাইরের ক্ষতিকারক জীবাণুরা প্রভাব ফেলতে পারে না। বিজ্ঞানীদের মতে কিছু প্রিবায়োটিক খাদ্য রয়েছে যার সাহায্যে অন্ত্রের অণুজীবদের শক্তি বাড়িয়ে তোলা যায়। এর ফলে করোনা সংক্রমণ অনেকটা হলেও কম করা যেতে পারে। পাশাপাশি প্রোবায়োটিক (Probiotics) ক্যাপসুল, জল জাতীয় ও স্প্রে আকারে পাওয়া যায়। যা শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারলেই বাইরের খারাপ ব্যাকটেরিয়ারা নিজেদের বাসা বাঁধতে পারবে না।
advertisement
গবেষকদের মতে ভাইরাল সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরের ব্যাকটেরিয়া ধংস হয়ে যায় এতে শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়াও ধংস হয়ে যায়। তাই হালকা ভাইরাল সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। পরামর্শে বলা হয়েছে প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্টে নিতে। তার জন্য হাই ফাইবার যুক্ত খাদ্যগ্রহণ করলেই ভালো। এতে শরীরে নিজে থেকেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে থাকে। যেমন রসুন, পেঁয়াজ, পালং শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, সাইট্রাস যুক্ত ফল, তরমুজ ও সব ধরনের বেরি জাতীয় ফল শরীরে সুপারফুড সাপ্লিমেন্টে হিসেবে কাজ করবে। এছাড়াও বেশ কিছু প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্টে বাজারে পাওয়া যায় সেগুলি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
view commentsLocation :
First Published :
August 03, 2021 3:37 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
Pre and Probiotics: প্রি এবং প্রোবায়োটিক কী, রোগ প্রতিরোধে কী ভাবে কাজ করে?

