#বর্ধমান: দাম কমল মাস্কের। বলা ভালো ফেস কভারের। বর্ধমানের বি সি রোডে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে সেই মাস্ক। নানান রঙের। যেমন রঙ খুঁজবেন। দাম মাত্র দশ টাকা। এক টুকরো কাপড়। চার কোনে চারটে দড়ি বাঁধা। দড়ির বদলে ইলাস্টিক দেওয়া মাস্কও আছে। তার দাম পনের টাকা। বাজার করতে বেরিয়ে বাসিন্দারা আসছেন, রঙ পছন্দ করে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন নিজের ও পরিবারের অন্যান্যদের জন্য। কেন্দ্রীয় সরকার ফেস কভার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়ার এই মাস্কের চাহিদা বেড়েছে।
করোনার সংক্রমণ শুরু হতেই মাস্কের খোঁজ শুরু করেছিলেন বাসিন্দারা। প্রথম প্রথম ভাগ্যবান কেউ কেউ এন নাইটি ফাইভ মাস্ক পেয়েছেন। তারপর তা বিক্রি হয়েছে কালো বাজারে। চড়া দামে। আড়াই শো টাকার মাস্ক বিক্রি হয়েছে পাঁচশো ছশো টাকায়। তারপর থেকেই তা অধরা। এক মাসের ওপর বর্ধমানে এন নাইটি ফাইভ মাস্কের দেখা নেই। বাধ্য হয়েই সবুজ কাপড়ের মাস্কের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। সেই মাস্কই মুখে বাঁধছেন জেলা শাসক থেকে প্রশাসনিক আধিকারিক, রাস্তায় কাজ করা পুলিশ কর্মীরা সকলেই।
আশা কর্মী,অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী যাঁরা হোম কোয়ারান্টিনে থাকা পুরুষ মহিলাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ করছেন তারাও মুখে বাঁধছেন সেই মাস্ক।তবে প্রথম প্রথম মাস্ক না বাঁধারই পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। তাঁদের পরামর্শ ছিল, মাস্ক মুখে তাঁরাই বাঁধুক যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। বাকিরা বরং স্যানিটাইজারে বা সাবান দিয়ে ভালোভাবে বারে বারে হাত পরিষ্কার করুক। সেই পরামর্শের জেরে অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছিলেন না।
কিন্তু সম্প্রতি জানা গিয়েছে, হাওয়ায় ছড়াতে সক্ষম করোনার সংক্রমণ। তা সামনে আসার পরই ফেস কভার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। প্রয়োজনে সুতীর কাপড় নুন জলে ফুটিয়ে নিয়ে তা সেলাই করে ফেস কভার তৈরি করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তার জেরে বেড়েছে মাস্কের চাহিদা। কিন্তু দোকানে দোকানে মাস্ক অমিল। তাই সস্তার ফেস কভারেই ভরসা রাখতে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।