অফিসে ৭০ শতাংশ হাজিরা, দফতরে সুরক্ষা বিধি মেনেই ঢোকার অনুমতি 

Last Updated:

তবে কর্মস্থলে প্রবেশের আগে বেশ কিছু সুরক্ষা ধাপ অতিক্রম করেই অফিসে ঢোকার অনুমতি মিলেছে। যেমন মহাকরণের সামনে তিনটি অস্থায়ী বেসিন বানানো হয়েছে।

#কলকাতা: সোমবার থেকে ৭০ শতাংশ কর্মী হাজিরা নিয়ে অফিস কাছারি খুলেছে।  মহাকরণ কিংবা নব মহাকরণে করোনা সুরক্ষা বিধি মেনেই কর্মস্থলে হাজির হলেন কর্মী থেকে আধিকারিকরা। তবে অনেক  কর্মী  গণপরিবহন সমস্যার কারণে ইচ্ছে থাকলেও অফিসে এসে পৌঁছতে পারেননি। কেউ এসেছেন সাইকেল করে। আবার কেউবা মোটরসাইকেলে। কেউ বা কয়েকজন মিলে গাড়ি ভাড়া করে । প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দূর আসানসোল থেকে বাইক চালিয়ে  কলকাতায় কর্মস্থলে হাজির হওয়ার ব্যতিক্রম ছবিও রয়েছে । নির্ধারিত সময়ে পৌঁছেছেন অনেকেই। তবে যেহেতু ট্রেন পরিষেবা এখনও  পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি তাই অনেক সরকারি কর্মীই ইচ্ছে থাকলেও শেষ পর্যন্ত কর্মস্থলে পৌঁছতে পারেননি।
তবে কর্মস্থলে প্রবেশের আগে  বেশ কিছু সুরক্ষা ধাপ  অতিক্রম করেই অফিসে ঢোকার অনুমতি মিলেছে। যেমন মহাকরণের সামনে তিনটি অস্থায়ী বেসিন বানানো হয়েছে। সেখানে সাবান জল দিয়ে হাত ভাল করে ধুয়ে মহাকরণের ঢোকার মূল গেটের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সরকারি কর্মীদের পুলিসকর্মীরা থার্মাল গানের মাধ্যমে কর্মী আধিকারিকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার পরই ভেতরে ঢোকার অনুমতি মিলছে।
advertisement
কর্মীরা  সংশ্লিষ্ট দফতরের ভেতরও সুরক্ষা বিধি মেনেই  কাজ শুরু করেছেন।  মুখে মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস পরার পাশাপাশি নিজেদের টেবিলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বসছেন। কোনও প্রয়োজনে যদি কোনও  সাক্ষাৎপ্রার্থী আসছেন তাহলে তাঁদেরও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেই কথা বলছেন সরকারি কর্মীরা।
advertisement
দীর্ঘদিন পর ফের পুরনো ছন্দে মহাকরণ। এতদিন পর অফিস এলেন। কেমন লাগছে ? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মচারী বললেন,' নিরুপায় হয়ে বাড়িতে ছিলাম। অবশেষে কাজে যোগ দিলাম। সবার সঙ্গে আবার দেখা সাক্ষাৎ হচ্ছে। তবে আতঙ্কও  রয়েছে। দীর্ঘদিনের জমে থাকা কাজ কী করে শেষ করব সেটাই এখন চিন্তা'। করোনা  আতঙ্কে বদলেছে মানুষের লাইফ স্টাইল। সেইসঙ্গে বদলেছে সরকারি অফিসগুলোর চেহারাও। যেমন নব মহাকরণ। স্যানিটাইজার , সাবান জল, মাস্ক গ্লাভস। সামাজিক দূরত্বে বসানো চেয়ার-টেবিল।  এখানকার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মুখে দেখা গেল ফেস শিল্ডও। কাজে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে এখানেও সেই একই নিয়ম। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কলকাতা পুলিশের কর্মীরা পরীক্ষা করছেন শরীরের তাপমাত্রা। কর্মী আধিকারিক মন্ত্রী থেকে আমলা--- কেউই বাদ যাচ্ছেন না সুরক্ষা বিধি মানার ক্ষেত্রে।
advertisement
নব মহাকরণের বিভিন্ন দফতর ঘুরেও দেখা গেল টেবিলে টেবিলে ফাইলের পাহাড়। ধুলো জমে থাকা কম্পিউটার, ফাইলপত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে লেগে পড়ছেন কর্মযজ্ঞে। একদিকে আতঙ্কের আবহ আর অন্যদিকে জমে থাকা কাগজ ফাইলের পাহাড়। কর্মী সংখ্যাও সীমিত। কী করে যে জমে থাকা কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন তা ভেবেই এখন চিন্তিত সরকারি দপ্তরের কর্মী থেকে আধিকারিকরা। বিভিন্ন সরকারি দফতরে ঘুরে সোমবার দেখা গেল সরকারি কর্মীদের অনেক চেয়ারই  ফাঁকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অফিসে হাজির হওয়া কর্মীরা বললেন , কলকাতা এবং আশেপাশের যারা মানুষজন তাঁরা মোটামুটি সবাই উপস্থিত হয়েছেন।
advertisement
তবে ট্রেন কিংবা দূরপাল্লার বাসই  যাদের ভরসা তাঁদের পক্ষে কর্মস্থলে এসে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে কলকাতা কিংবা সংলগ্ন এলাকা থেকে এদিন অনেকে নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হলেও অনেকেই নিজেদের দপ্তরে নির্দিষ্ট সময়ের বেশ কিছুক্ষণ পরে এসে পৌঁছেছেন। সৌজন্যে পরিবহন সমস্যা। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজিরা খাতায় লাল দাগ না পড়ার ঘোষণায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে কর্মস্থলে দেরিতে আসা চাকুরীজীবীরা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
অফিসে ৭০ শতাংশ হাজিরা, দফতরে সুরক্ষা বিধি মেনেই ঢোকার অনুমতি 
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement