এ বার চলমান সিঁড়ি থেকে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা! আতঙ্কিত যাত্রীরা
- Published by:Simli Raha
Last Updated:
গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে। চলমান সিঁড়িতেও উঠতে হচ্ছে ঠেলাঠেলি করে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই ঘটনা সব সময় ঘটে চলেছে।
Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: ভিড়ে ঠাসা এসকালেটর। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাকে সঙ্গী করে সেই ভ্রাম্যমান সিঁড়িতে গাদাগাদি করে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। তা থেকে দ্রুত ছড়াতে পারে করোনার সংক্রমণ। এমনটাই মনে করছেন রেল যাত্রীরা। তাঁরা বলছেন, সরকার আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার কথা বলছে। রেল স্টেশনের প্লাটফর্ম, ট্রেনের পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে তা নিয়মিত প্রচার করা হচ্ছে। অথচ রেলের তরফে সেই সতর্কতা কোথায়?
advertisement
বর্ধমান রেল স্টেশনে প্লাটফর্ম থেকে বাইরে বের হতে ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করতেই হবে। দু-তিন নম্বর প্লাটফর্ম থেকে সেই ফুট ওভার ব্রিজে উঠতে চলমান সিঁড়ি ব্যবহার করতেই হচ্ছে। ওই প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢুকলে যাত্রীরা শয়ে শয়ে ভিড় করছেন এসকালেটরের সামনে। গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে। চলমান সিঁড়িতেও উঠতে হচ্ছে ঠেলাঠেলি করে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই ঘটনা সব সময় ঘটে চলেছে। আর তাতেই আতংকিত যাত্রীরা। তাঁরা বলছেন, হতেই পারে এক বা একাধিক ব্যক্তি করোনা ভাইরাস বহন করছেন। তাদের থেকে বাকিদের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই মারণ ভাইরাস। আর তা হতে থাকলে রাজ্য তথা দেশে তার ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়তে বাধ্য।
advertisement
advertisement

নিত্যযাত্রীরা বলছেন, লোক সমাগম হয় এমন এলাকা এড়িয়ে চলতে বলা হচ্ছে। সে কারণেই সিনেমা হল, অডিটোরিয়াম, মেলা সমাবেশ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ প্লাটফর্মের চলমান সিঁড়ি যে রাজ্য জুড়ে করোনা ছড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট তা বুঝতে রেলের এতো সময় লাগছে কেন! তাঁদের পরামর্শ, জরুরি কালীন ভিত্তিতে বাড়তি সিঁড়ির ব্যবস্থা করা হোক। এসকালেটরে যাতে যাত্রীরা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে উঠতে পারেন তা নিশ্চিত করতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হোক।
advertisement

নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই বলছেন, এমনিতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেশ জুড়ে যে ভাবে বাড়ছে তাতে আতঙ্কিত সকলেই। তার ওপর দেশের করোনা আক্রান্ত এলাকাগুলি থেকে অনেকেই ট্রেনে ফিরে আসছেন। করোনা আক্রান্ত বিভিন্ন দেশ থেকে বিমান বন্দর হয়ে ট্রেনে ফিরছেন অনেকেই। তাঁরা যে করোনা ভাইরাস বহন করছেন না তার নিশ্চয়তা কোথায়। তাই এখন এই মারণ ভাইরাস রুখতে বিশেষ সাবধানতা জরুরি। সাধারণ মানুষ যে যার নিজের মতো করে ব্যবস্থা নিচ্ছে। রেলেরও উচিত ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সব রকমভাবে সতর্ক থাকা।
view commentsLocation :
First Published :
March 19, 2020 11:36 AM IST