করোনা নিয়ে ভয়, ধূ ধূ করছে মাসে কোটি টাকার ব্যবসা করা সাউথ সিটি মল

Last Updated:

মলের একাধিক দোকান ফাঁকা পড়ে আছে। কিছু দোকানে ক্রেতা থাকলেও, বেশিরভাগ দোকান ফাঁকা।

ABIR GHOSHAL
#কলকাতা: ফাঁকা সাউথ সিটি মল। এক ধাক্কায় নেমে এসেছে মলে আসা লোকের সংখ্যা। করোনা ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে নানা ব্যবস্থা। তবুও ভয় দূর হয়নি সাধারণের মধ্যে থেকে। করোনা নিয়ে তাই সচেতনতা শুরু করল মল কতৃপক্ষ। শহর কলকাতার অন্যতম হ্যাপিনেস জোন। যাঁরা শহর বেড়াতে ভালবাসেন তাঁদের কাছে অন্যতম পছন্দের জায়গা হল দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম অভিজাত এই মল। কিন্তু করোনা'র জেরে এবার এই শপিং মলেও মানুষের যাতায়াত কমছে অনেকটাই।
advertisement
তুলনামূলক ভাবে লোক সংখ্যা কমায় ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি মল কর্তৃপক্ষ আর্থিক ভাবে তাঁদের অনেকটাই ক্ষতি হচ্ছে বলে মত। সোম থেকে শুক্র সপ্তাহে পাঁচটা দিন সাউথ সিটি মলে গড়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪২ হাজার লোক যাতায়াত করেন। এই সংখ্যা এক লাফে দ্বিগুণ হয়ে যায় শনি ও রবিবার। প্রায় দু'লক্ষ মানুষ এই দু’দিন মলে ভিড় করেন। করোনার জেরে সেই ভিড়ের জোয়ারে, ভাটা পড়েছে বলে জানাচ্ছেন মল কর্তৃপক্ষ। ফলে মাসে যেখানে কোটি টাকার ব্যবসা হয় তাতে ধাক্কা খাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
advertisement
সাউথ সিটি মলে অবশ্য করোনা সচেতনতা নিয়ে চলছে প্রচার। মলের ভিতরে থাকা ভিডিও ওয়ালে কী করবেন, আর কী করবেন না তা জানানো হচ্ছে তিন ভাষায়। মলে ঢোকার সময়ে হাতে দেওয়া হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। মলে যাঁরা গাড়ি নিয়ে আসছেন, তাঁদের জন্যেও থাকছে একই ব্যবস্থা। এছাড়া এসক্যালেটরের হ্যান্ড রেল থেকে শুরু করে শৌচালয়ের দরজা সব কিছুই ভাইরাক্স জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করে মুছে দেওয়া হচ্ছে। সাউথ সিটি মলের ডিজিএম দীপ বিশ্বাস বলেন, "লোক অবশ্যই তুলনামূলক ভাবে অনেক কমেছে। তবে অযথা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা সমস্ত ধরণের ব্যবস্থা নিয়েই মল খোলা রেখেছি।" মলে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে প্রতিদিন। তারপর তাঁদের কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মলের একাধিক দোকান ফাঁকা পড়ে আছে। কিছু দোকানে ক্রেতা থাকলেও, বেশিরভাগ দোকান ফাঁকা।
advertisement
একই অবস্থা সিনেমা হলের। যেহেতু এক জায়গায় সবাইকে জমায়েত হতে চিকিৎসকরা বারণ করছেন, তাই অনেক লোক মল এড়িয়ে যেতে শুরু করেছেন বলে মত অনেকের। যেমন নয়না, বহুদিন ধরেই আসেন সাউথ সিটি মলে, কিন্তু এখন, "বন্ধুদের একটা জমায়েত ছিল সেটা না করে দিয়েছি। বিশেষ কিছু কেনাকাটা করতে হবে তাই এসেছি। তবে যে ভাবে করোনা নিয়ে নানা কথা শুনছি তাতে ভয় তো পাচ্ছি।" নয়নার কথায় সহমত পোষণ করেছেন সায়ন চক্রবর্তী। তবে তাঁর কথায়, "সাউথ সিটি মলের প্রশংসা করতে হবে। এভাবে সচেতন করছে, সঙ্গে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে তবে ঢুকতে দিচ্ছে। এটা ভালো।" সায়নের কথার রেশ ধরে তার বাবা সঞ্জীব চক্রবর্তী বলেন, "এত নেগেটিভ প্রচার হচ্ছে তাতে মানুষ ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। আর যদি দোকান থেকে মল সব বন্ধ হয়ে যায় তবে তো দেশের আর্থিক অবস্থা আরও খারাপ হবে।"
view comments
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
করোনা নিয়ে ভয়, ধূ ধূ করছে মাসে কোটি টাকার ব্যবসা করা সাউথ সিটি মল
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement