#পূর্ব বর্ধমান: পরিযায়ী শ্রমিকদের আর ভিন রাজ্যে কাজে যেতে হবে না। তাদের মন মতো কাজ মিলবে ঘরের কাছেই। তাই তাঁরা কে কোন কাজে পারদর্শী তার তালিকা তৈরি করল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। জেলা শাসক বিজয় ভারতী জানান, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী ও সমবায় গড়ে কাজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাঁরা যে সব সামগ্রী উৎপাদন করবেন সেসবের বিপণনেরও ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। অদক্ষ শ্রমিকরা চাইলেই একশো দিনের কাজ পাবেন। সেজন্য তালিকা ধরে ধরে তাদের জব কার্ডও দেওয়া হচ্ছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ভিন রাজ্য থেকে প্রায় পঁচিশ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক এই জেলায় ফিরে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে ৬৭৫ জন বাইরের রাজ্যে সোনা রুপোর গয়না তৈরির কাজ করতেন। ১৬০ জন সেলাইয়ের কাজ করতেন। গুজরাট মহারাষ্ট্র-সহ বাইরের রাজ্যে টেলারিংয়ের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পাঁচশো জন। তাঁরা যাতে এখানেও একই কাজ করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের সুযোগ করে দিতে প্রতি ব্লকে একটি করে কেন্দ্র গড়া হচ্ছে। সেখানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার মাধ্যমে সোনা রুপোর গহনা তৈরির কারিগরদের ডিজাইন ডেভলপমেন্ট ও মার্কেটিংয়ে সাহায্য করবে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতর। একইভাবে টেলারিংয়ের জন্যেও প্রতি ব্লকে সেন্টার গড়া হচ্ছে। সেখানে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী বা সমবায়ের মাধ্যমে তাঁদের কাজের ব্যবস্থা করা হবে।
জেলা শাসক জানান, এখন মাস্কের ভালো চাহিদা রয়েছে। তাই শ্রমিকদের মাস্ক তৈরি, ডাক্তার নার্সদের অ্যাপ্রন ও স্কুলের পোশাক তৈরির কাজ দেওয়া হবে। সরকারি স্তরেও তার বিপণন অনেক সহজেই সম্ভব হবে। এইসব কাজের জন্য মডেল ডিপিআর করে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরে পাঠানো হচ্ছে। ওই দফতর মেশিন-সহ অন্যান্য প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে।জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগি অদক্ষ শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৩ হাজার জন একশো দিনের কাজ চেয়ে জব কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। দ্রুত তাদের মধ্যে জব কার্ড বিলি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Lockdown, Migrant Labours