#নয়াদিল্লি : করোনার গত বছরের স্মৃতি যেন ক্রমশ গ্রাস করছে গোটা দেশকে। দ্বিতীয় ঢেউ যেন আরও ভয়ঙ্করভাবে আরও দ্রুততায় গ্রাস করছে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ। একমাসের মধ্যেই অবস্থা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। আতঙ্ক গ্রাস করছে প্রতিটা মানুষের মনকে। এই অবস্থায় এক অদ্ভুত ঘটনার স্বাক্ষী হলো দিল্লি।
পূর্ব দিল্লির ঝিলমিল ওয়ার্ডের জ্বালানগর শ্মশান৷ শুক্রবার দুপুরে বাইরে তখন সার দিয়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ৷ অথচ ফুরিয়ে গিয়েছে দাহ করার কাঠ! খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। শেষমেশ মৃতদেহ সৎকারের কাজে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ যাঁর পক্ষে যতটা সম্ভব মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সাহায্য করেন তাঁরা৷ ঘরে মজুত কাঠ, ভাঙা চেয়ার টেবিল শ্মশানে দাহকার্যের জন্য দান করেন এলাকার মানুষ৷
পরিস্থিতি এমন হয় যে কেউ কেউ ঘরের দরজা, জানলা, টেবিল, চেয়ার পর্যন্ত তুলে নিয়ে চলে আসেন শ্মশানে৷ সেই কাঠেই চলে একের পর দেহ সৎকারের কাজ ৷ স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা পৌরনিগমের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ পঙ্কজ লুথরা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘করোনার দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তদের মৃত্য়ুর ঘটনাও ৷ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে শ্মশানে জায়গা কম পড়ছে ৷ শবদেহ দাহ করার মতো কাঠও আর পাওয়া যাচ্ছে না৷’’
নেতার দাবি, শ্মশানে কাঠ ফুরিয়ে যাওয়ার খবর কানে যেতেই তা গোটা এলাকার মানুষকে জানিয়ে দেন তিনি ও দলের সদস্যরা ৷ পাশাপাশি, এলাকাবাসীর কাছে আবেদন করেন, কারও ঘরে যদি অব্য়বহৃত কাঠ পড়ে থাকে, তা যেন বাইরে এনে রাখেন তাঁরা ৷ সেই কাঠ শ্মশানে পৌঁছে দেওয়া হবে৷ পঙ্কজ জানিয়েছেন, তাঁর আবেদনে ব্য়াপকভাবে সাড়া দেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ প্রায় সকলেই নিজেদের সংগ্রহে থাকা বাতিল কাঠের সামগ্রী বাইরে এনে রাখেন ৷ যা পঙ্কজ নিজে গাড়ি করে শ্মশানে পৌঁছে দেন৷ সব মিলিয়ে দু’ট্রাক কাঠ শ্মশানে সরবরাহ করা হয় ৷ তাতে আপাতত ওই শ্মশানে চলছে দেহ সৎকারের কাজ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus Second Wave, Cremation