Saradindu Ghosh
#শান্তিনিকেতন: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করোনা ভাইরাসের সতর্কতায় বসন্তোৎসব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও অনেকেই যাচ্ছেন শান্তিনিকেতন। প্রতিবারের মতো এবারও শান্তিনিকেতনেই দোল খেলার পরিকল্পনা নিয়েছেন তাঁরা। বর্ধমান থেকে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন দল বেঁধে বোলপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তাঁদের মতো অনেকেই সবুজে ঘেরা শান্তিনিকেতনে যাবেন বলে আশাবাদী তাঁরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে ঢোকা না গেলেও খোয়াই ও তার আশপাশে দোল খেলবেন তাঁরা।
প্রতিবারের মতো এবারও দোল পূর্ণিমায় শান্তিনিকেতনে যাবেন এমনটা স্থির করে রেখেছিলেন বর্ধমানের অনেকেই। গাড়ি, হোটেলেরও আগাম ব্যবস্থাও করে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁদের সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেয় বসন্ত উৎসব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত। তারপর থেকে মুষড়ে পড়েছিলেন অনেকে। কিন্তু রবিবার বিকেলের পর থেকে ছবিটা বদলাতে শুরু করেছে। অনেকেই সবান্ধবে বোলপুর শান্তিনিকেতনের দিকে রওনা দিয়েছেন। অনেকে আবার দুপুর পর্যন্ত বোলপুরে কাটিয়ে মধ্যাহ্ন আহার সেরে তারাপীঠে রাত কাটানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন।
শান্তিনিকেতনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া বর্ধমানের যুবক সুদীপ সরকার বললেন, ‘‘দোল পূর্ণিমায় বর্ধমানে রঙ খেলা হয় না। আমাদের মতো বর্ধমানের বহু পুরুষ মহিলা এই দিনটায় বরাবর শান্তিনিকেতনে যান। এবার বসন্ত উৎসব বন্ধ হওয়ায় মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তারপর বন্ধুরা মিলে ঠিক করি বিশ্বভারতীর উৎসব হোক বা না হোক আমরা ওখানেই যাব। আশা করছি, আমাদের মতো অনেকেই আসবেন।’’
বিশ্বভারতী চত্ত্বর বন্ধ থাকলে তার আশপাশে ঠিক আড্ডা, গান, খাওয়া দাওয়ায় আনন্দ খুঁজে নেওয়া যাবে। সব মিলিয়ে গত বছরগুলির অভ্যাস মেনে এবারও শেষ মুহূর্তে বোলপুর মূখী অনেকেই। সপরিবারে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন পবন রায়। তিনি বললেন, ‘‘প্রথম রাত বোলপুর ও পরের রাত তারাপীঠে কাটানোর পরিকল্পনা আগেই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। আপাতত বোলপুর যাচ্ছি। সেখানে রাতের পরিবেশ দারুন লাগে। সকালে উঠে পরিস্থিতি বুঝে তারাপীঠ যাব। বোলপুরে ভিড় হলে ভাল, না হলে তারাপীঠ হাতে থাকছে। ওখানেও এবার ভাল বসন্ত উৎসব হবে শুনছি।’’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Basanta Utsav, Coronavirus, Shantiniketan, VIswa Bharati