হোম /খবর /কলকাতা /
করোনা সংক্রমণ! সন্দেহের জেরেই মায়ের দেহ নিতে অস্বীকার ছেলের, হাসপাতালে চূড়ান্ত উত্তেজনা

করোনা সংক্রমণ! সন্দেহের জেরেই মায়ের দেহ নিতে অস্বীকার ছেলের, হাসপাতালে চূড়ান্ত উত্তেজনা

বরানগরের বাসিন্দা ৬২ বছর বয়সি বৃদ্ধা মেডিকেল কলেজে করোনা আক্রান্তদের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপার স্পেশালিটি ব্লকের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

  • Share this:

#কলকাতাঃ রবিবারই কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর এক মহিলার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। লেবার রুম এবং অপারেশন থিয়েটার সবকিছু বন্ধ। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো মঙ্গলবার সকাল থেকে আতঙ্ক আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে।  উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরের বাসিন্দা ৬২ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। মেডিকেল কলেজে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালের নির্দিষ্ট সুপার স্পেশালিটি ব্লকের আইসোলেশন ওয়ার্ডে এই বৃদ্ধা চিকিৎসাধীন ছিলেন। যদিও এই বৃদ্ধার লালা রস পরীক্ষা হয়নি বলে জানা গেছে হাসপাতাল সূত্রে।

আতঙ্ক এতটাই প্রগাঢ় যে, প্রিয়জনের দেহ নিতেও অস্বীকার করে পরিবার। সোমবার রাত আটটায় মৃত্যু হওয়ার পর বৃদ্ধার দেহ নিতে অস্বীকার করে। তার পরিবার পরিবারের সদস্যরা জানান, মৃতা ওই মহিলা করোনা আক্রান্ত ছিলেন। কিডনির সমস্যা নিয়ে এই বৃদ্ধাকে সম্প্রতি ভিআইপি রোডে চিনার পার্ক সংলগ্ন চার্ণক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালিসিস চলাকালীন বেশ কয়েকজনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে। তারপর রবিবার থেকে গোটা হাসপাতাল ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ওই বৃদ্ধাকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয় প্রথমে জরুরী বিভাগ এবং তারপরে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয় পরে তার করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাঁকে সুপার স্পেশালিটি ব্লকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার সকালে পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই পড়ে হাসপাতাল কর্মীরা বৃদ্ধার দেহ মর্গে নিয়ে গেলে গোটা মেডিকেল কলেজ জুড়ে চূড়ান্ত ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগী, রোগীর আত্মীয়, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মেডিকেল কলেজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই বৃদ্ধার লালা রস পরীক্ষার জন্য চার্নক হাসপাতাল থেকেই নাইসেডে পাঠানো হয়েছিল, সেই রিপোর্ট কি এসেছে, তা জানতে পারলেই সব পরিষ্কার হবে। তবে রিপোর্ট যদি পজিটিভ হয়, তবে বহু মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে।

ABHIJIT CHANDA

Published by:Shubhagata Dey
First published:

Tags: COVID-19, Deceased family, Kolkata Medical college hospital