‘দু-মুঠো অন্ন জোগাতে মাথার চুল ছেঁড়ার অবস্থা’,কবে উঠবে লকডাউন, চিন্তায় গণপরিবহণের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকেরা
- Published by:Elina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
অনেক মালিক আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে কর্মীরা পেটের টানে বাসের ব্যাটারি সহ যন্ত্রাংশ বিক্রি করে দেবেন।
#কলকাতা: জরুরি পরিষেবায় রাস্তায় ট্যাক্সি নামলে রোজগার হবে। এই আশায় খুশি শহরের ট্যাক্সি চালকরা। ঠিক ততটাই চিন্তিত বাস মালিক, চালক ও কন্ডাক্টররা। লকডাউনের জেরে রাস্তায় নামছে না বাস। শহর ও শহরতলির একাধিক বাস স্ট্যান্ডে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন রুটের বেসরকারি বাস। দু-মুঠো অন্ন জোগাবার জন্য মাথার চুল ছিঁড়ছেন গণ পরিবহণের সাথে যুক্ত কর্মীরা। মালিক বা বাস সংগঠনের প্রতিনিধিরা কিছুটা সাহায্য করলেও তা দিয়ে যে পেটের খিদে মেটানো সম্ভব নয় তা বুঝেছে দু'পক্ষই। তাই সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দোপাধ্যায়।
তবে এটা শুধু কলকাতা শহর বলে নয়, একই ছবি ধরা পড়ছে গোটা রাজ্যেই। তপন বাবু বলেন, "আমাদের কলকাতা শহরেই বাসের সাথে যুক্ত আছে কয়েক হাজার শ্রমিক। তাদের পরিবার ধরলে লাখ খানেক মানুষের পেট চলে এই পেশার মাধ্যমে। তারা বারবার ফোন করছেন। যতটা পেরেছি টাকা দিয়েছি। কিন্তু আর চালানো সম্ভব হচ্ছে না।" পাটুলি, ঢাকুরিয়া, বালিগঞ্জ, যাদবপুর সহ একাধিক জায়গায় সংগঠনগুলি টাকা পাঠিয়েছে। কোথাও আবার চাল, ডাল, তেল পাঠিয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের সংসারের কি হবে? কেউ জানেনা সেই উত্তর। অনেক মালিক আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে কর্মীরা পেটের টানে বাসের ব্যাটারি সহ যন্ত্রাংশ বিক্রি করে দেবেন।
advertisement
কলকাতার থেকেও খারাপ অবস্থা জেলাগুলিতে। আন্তঃরাজ্য বাস সংগঠনের নেতা রাহুল চ্যাটার্জি জানান, "বিভিন্ন জায়গায় বাস দাঁড়িয়ে আছে। শ্রমিকরা অনেকেই বাড়ি অবধি পৌছতে পারেননি। যতটা সম্ভব সাহায্য করা হয়েছে। কিন্তু আর পেরে ওঠা যাচ্ছেনা।" অন্তত এই পরিস্থিতিতে তারা চাইছেন রাজ্য সরকার কোনও একটা উপায় বাতলে দিক। যাতে গণ পরিবহণের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের মুখে দু'বেলা খাবার পৌছে দিতে পারা যায়।
advertisement
advertisement
অন্যদিকে, লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় প্রায় ৮০ শতাংশ ট্যাক্সি চালক নিজের বাড়ি ফেরত গেছেন।মালিকরা জানেন না তারা আদৌ ফিরবেন কিনা। আর যারা রয়ে গেছেন তারা জানেন না তাদের সংসার চলবে কি করে? রাজ্য সরকার ট্যাক্সি নামাবে শুনে কিছুটা হলেও খুশি তারা। তবে ৩০০ ট্যাক্সির মধ্যে তারা সুযোগ পাবেন কিনা তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে। এ আই টি ইউ সি'র ট্যাক্সি সংগঠনের নেতা নওয়াল কিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, " আমরা একটা প্যাকেজ চাইছি সরকারের থেকে। চালকদের পরিস্থিতি খুব খারাপ। রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ তারা জরুরি পরিষেবায় ট্যাক্সি নামাবেন বলেছেন।" ট্যাক্সি চালকদের গড়ে প্রতিদিন আয় হত ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। গত এক মাস ধরে তা শুন্যে গিয়ে ঠেকেছে। পেট চালানোর জন্য দিনে তাই ১৫০ টাকার প্যাকেজ চাইছেন চালকরা।
advertisement
Abir Ghosal
view commentsLocation :
First Published :
April 12, 2020 2:08 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
‘দু-মুঠো অন্ন জোগাতে মাথার চুল ছেঁড়ার অবস্থা’,কবে উঠবে লকডাউন, চিন্তায় গণপরিবহণের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকেরা