#বর্ধমান: পাতে পড়ল না সীতাভোগ মিহিদানা। শক্তিগড়ের ল্যাংচাও অধরাই থাকলো বাংলা বছরের প্রথম দিনে। বর্ধমানের মিষ্টি প্রিয় ভোজন রসিকদের মিষ্টির প্লেট ফাঁকাই থাকলো এদিন। সকালে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দেওয়া হয়নি। নতুন পাঞ্জাবি পাজামা পরে রাস্তায় বের হওয়াই হল না। কারণ এবার আর নববর্ষের নতুন পোশাক কেনা হয়নি। লক ডাউনের জেরে দোকান খোলাও ছিল না। কেউ কেউ মাংসের দোকানে লাইন দিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বেশিরভাগই মাছে ভাতে মধ্যাহ্ন আহার সেরে ফেস কভারে মুখ ঢেকে অতীতের স্মৃতি ঘেঁটে নীরবে দিন কাটালেন।
লক ডাউনে বেলা বারোটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত মিষ্টি বিক্রিতে ছাড় রয়েছে। তবু এই সময় মিষ্টির দোকান খোলার পথে হাঁটেননি বর্ধমানের নামি মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। একে করোনা সংক্রমণের আশংকা। তার ওপর মিষ্টি বিক্রি হওয়া নিয়ে সংশয়। মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা বলছেন, কর্মী কারিগর রেখে মিষ্টি তৈরি করতে যে খরচ তার সিকি ভাগও চার ঘন্টায় বিক্রি হবে না। বাস ট্রেন বন্ধ। শহরের বাইরের লোকরা আসছেন না। ভর দুপুরে মিষ্টি কিনবে কে! তাই এবার পয়লা বৈশাখে সীতাভোগ মিহিদানা তৈরি হল না বর্ধমানে। দু নম্বর জাতীয় সড়ক খাঁ খাঁ করছে। তাই ঝাঁপ বন্ধ শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানগুলিরও।
সেলের বাজার বন্ধ। নতুন পোশাক কেনা হয়নি। ফুটপাতে শুধু ঝুলছে রঙ বেরঙের ফেস কভার। সব মিলিয়ে নববর্ষ পালনের সব উপকরণই উধাও। অন্য বছর সকালে পুজোর পর বেলা থেকেই দোকানে দোকানে উৎসব শুরু হয়ে যায়। দোকানে গেলেই হাসিমুখে ক্রেতাদের হাতে লাড্ডু নিমকি সহ মিষ্টির প্যাকেট ও ক্যালেন্ডার তুলে দেন বিক্রেতারা। হাত জোড় করে বলেন, আবার আসবেন। সেই সব দোকান তিন সপ্তাহ তালা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। দোকানের কর্মীদের কাজ নেই। অনেকের হাতে অর্থও নেই। কাজ হারানোর ভয়ে চিন্তিত অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে আজ আর বাজারমুখোও হতে মন চায়নি অনেকের। চারপাশে কোনও রকমে দিন কাটছে দরিদ্রদের। আজ আর বাজারে বাছাই করা কাতলা মাছ কেনার মানসিকতা হারিয়েছেন অনেকে। দেশে রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই উৎসবে মাততে মন চায়নি অনেকেরই। তাঁরা শুকনো মুখ ঢেকেছেন মাস্কে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona, Corona outbreak, Corona state lock down, Coronavirus, COVID-19, Poila Baishak 2020