কোনও ধর্মীয় সমাবেশের অনুমতি নয়, সব রাজ্যকে কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের

নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, লকডাউন চলাকালীন ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি ছাড়া কোনও ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা জমায়েতের অনুমতি দেওয়া যাবে না৷ সাধারণ মানুষ, সামাজিক এবং ধর্মীয় সংগঠনগুলির নজরে আনার জন্য লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধেরও যথাযথ প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ যাঁরা এই নিয়মভঙ্গ করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক মুখপাত্র টুইটারে লিখেছেন, 'আগামী সপ্তাহে বেশ কিছু উৎসব রয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে সব ধর্মের নেতৃত্বরাই এগিয়ে এসে মানুষকে লকডাউন মেনে চলা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সহযোগিতা করার কথা বলেছেন৷'

বৃহস্পতিবারই শবে বরাত ছিল৷ শুক্রবার ছিল গুড ফ্রাইডে৷ এর পর গোটা এপ্রিল মাস জুড়েই বাংলা নববর্ষ, বৈশাখী, রঙ্গোলি বিহুর মতো বিভিন্ন উৎসব রয়েছে৷ ১৪ এপ্রিলের পরেও লকডাউন চলার সম্ভাবনা প্রবল৷ এই পরিস্থিতিতে আগেভাগেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হলো৷ কারণ দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশের মাশুল গুণছে গোটা দেশ৷ সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে মরিয়া কেন্দ্রীয় সরকার৷