বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল, সংক্রমণের পরোয়া না করেই রাস্তায় বহু মানুষ

আই এম এ ঘোষণা করেছে, দেশে শুরু হয়ে গেছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। এখন আরও বেশি করে সতর্ক হওয়ার সময়। পরিস্থিতি এমন যে কোনও ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়লে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারা যে হাতে চাঁদ পাওয়ার সমান।

এই রকম অবস্থায় করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কোনও বিধিনিষেধেই আনছেন না কিছু মানুষ। আশপাশের কয়েকটি এলাকায় কন্টেইনমেন্ট উঠে গেলেও দক্ষিণ কলকাতার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের সার্ভে পার্কে এখনও তা বলবত রয়েছে। ওই এলাকায় একাধিক রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করা রয়েছে। কিন্তু সেই ব্যারিকেড মারে কে। যে যার মতো ব্যারিকেডের বাঁশ সরিয়ে মোটর বাইক, সাইকেল নিয়ে অনেক আবার পায়ে হেঁটে বেড়িয়ে পড়েছে কন্টেইনমেন্ট জোন থেকে। এলাকায় কোথাও চোখে পড়লো না পুলিশি নজরদারি।

শনিবার পুরসভার তরফ থেকে নতুন কয়েকটি  কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম বেহালার পর্ণশ্রীর মহারানী ইন্দিরা দেবী রোড। রাস্তার মধ্যবর্তী ৫০ মিটার মত জায়গা কন্টেইনমেন্ট জোন। সেখানে প্রশাসনের তরফ থেকে ব্যারিকেড তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই নির্দিষ্ট জায়গার বাসিন্দাদের মধ্যে করোনা নিয়ে কোনও রকম বিধি নিষেধ মানার বালাই নেই। পুলিশের উপস্থিতিতেই ব্যারিকেডের পাশে চলছে পাড়ার লোকেদের রবিবারের জমিয়ে আড্ডা, সামাজিক দূরত্বের পরোয়া না করেই।

এর পাশাপাশি শহরের প্রায় সর্বত্রই মাস্ক পড়া নিয়ে দেখা যাচ্ছে মানুষের মধ্যে অনীহা। অনেককেই মাস্ক ছাড়াই বেরিয়ে পড়ছেন বাড়ি থেকে। অনেকে আবার নাক মুখ থেকে নামিয়ে থুঁতনি ঢেকে রাখছেন। যেন নতুন কোনও ফ্যাশন এসেছে বাজারে।