লালজির অভিনব উদ্যোগ! বাংলার ফাস্ট বোলারদের অনলাইনে ফিটনেস ট্রেনিং
- Published by:Debalina Datta
Last Updated:
করাচ্ছেন ট্রেনার সঞ্জীব দাস
#কলকাতা: লকডাউনে বাংলার ফাস্ট বোলারদের ফিটনেস ধরে রাখতে অভিনব উদ্যোগ। কোচ অরুণলালের পরামর্শে সিনিয়র দলের ট্রেনার সঞ্জীব দাস অনলাইনে ট্রেনিং করাচ্ছেন ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমার, আকাশদীপদের। ট্রেনার সঞ্জীবের ফিটনেস চার্ট মেনে ক্রিকেটাররা যে যার নিজের বাড়িতেই ট্রেনিং করছেন। ট্রেনিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ভিডিও ক্লিপ ক্রিকেটারদের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিচ্ছেন সঞ্জীব দাস।
ক্রিকেটাররা নিজেদের সময় অনুযায়ী সেই ট্রেনিং করছেন। অসুবিধা হলেই হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল চলে যাচ্ছে ট্রেনার সঞ্জীব দাসের কাছে। ভুল ত্রুটি ফোনেই শুধরে দিচ্ছেন সঞ্জীব। একটানা বাড়িতে বসে থাকলে পেস বোলারদের ফিটনেস সমস্যা থেকে বেশি হয়। করোনা সংক্রমণের জেরে আচমকা লকডাউন হওয়ায় বাংলার বেশিরভাগই ক্রিকেটার দেশের বাড়ি ফিরে গেছেন। বন্ধ রয়েছে ক্লাব ক্রিকেট। ফলে এই মুহূর্তে বিহারে নিজের বাড়িতে রয়েছেন আকাশদীপ, মুকেশ কুমার। চন্দননগরে গৃহবন্দী ঈশান পোড়েল। প্রত্যেককেই ফিট রাখতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন অরুণলাল। বোলিং কোচ রণদেব বসুর সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হয়েছে একটি পুল। যেখানে বাংলার সিনিয়র দলের ও প্রতিভাবান ফাস্ট বোলাররা রয়েছেন। ঈশান পোড়েল, আকাশদীপ, মুকেশ কুমারদের সাথে অনলাইন ট্রেনিং করছেন সায়ন ঘোষ, অয়ন ভট্টাচার্য, গুলাম মুস্তাফা, সন্দীপনরা। আকাশদীপ, মুকেশ কুমার বিহারে বাড়ি লাগোয়া মাঠে দৌড়াতে পারলেও ঈশান পোড়েল একদম গৃহবন্দী। তাই তাদের জন্য আলাদা ফিটনেস ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন ট্রেনার সঞ্জীব দাস। বোলিং করতে না পারলেও মক ড্রিল প্র্যাকটিস করছেন প্রত্যেকে।
advertisement

advertisement
ট্রেনার সঞ্জীব দাস জানান, "লালজি ও রণদেব বসুর উদ্যোগে এই অনলাইন ট্রেনিং শুরু হয়েছে। আমি প্রত্যেক ক্রিকেটারদের ফিটনেসের জন্য আলাদা ব্যায়াম ও চার্ট তৈরি করে পাঠিয়ে দিয়েছি। ট্রেনিংয়ের ভিডিও পাঠাচ্ছি। অসুবিধা হলে হোয়াটসঅ্যাপ কলে সমস্যা সমাধান চলছে। লকডাউন চললেও ক্রিকেটারদের ফিটনেস ঠিক রাখার খুব প্রয়োজন। আশা করি দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে। আমরা আবার মাঠে গিয়ে ট্রেনিং শুরু করতে পারব। ততদিন বাড়ি থেকেই এভাবে ফিটনেস ট্রেনিং চলবে।"
advertisement

সঞ্জীব দাস বাড়িতে থেকে ফিটনেসের জন্য যেসব ট্রেনিং করা উচিত সে সব ভিডিও পাঠাচ্ছেন ক্রিকেটারদের। সাথে রয়েছে কিছু পুরনো ভিডিও। যেগুলো মাঠে তুলে রেখেছিলেন বোর্ডের বি লাইসেন্স পাশ করা এই ট্রেনার।বিহারের সাসারাম থেকে টেলিফোনে আকাশদীপ বলেন, "ধন্যবাদ সব স্যারদের। বাড়িতে বসে ঠিক কি ট্রেনিং করা উচিত সেটা সহজেই পেয়ে যাচ্ছি। একজন ফাস্ট বোলারের ফিটনেস খুব প্রয়োজন। একবার নষ্ট হলে সেটা ঠিক করতে সময় লাগে। তাই লকডাউনে এই ট্রেনিং কাজে লাগছে।
advertisement
রাজকোটে রঞ্জি ফাইনাল খেলে ফিরে আসার পর থেকেই গৃহবন্দী রয়েছে বাংলায় ক্রিকেটাররা। নিজের বাড়িতে রয়েছেন কোচ অরুণলাল। লকডাউনের মধ্যেও আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চান রঞ্জি জয়ী এই ক্রিকেটার। নিজে এখনও নিশ্চিত নন বাংলাকে আগামী মরসুমে কোচিং করাবেন কিনা? তবে কঠিন সময়ে ক্রিকেটারদের পাশে রয়েছেন অরুণলাল।
ERON ROY BURMAN
view commentsLocation :
First Published :
April 09, 2020 6:24 PM IST

