১লা বৈশাখে "হাল খারাপ" হাল-খাতার
- Published by:Elina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
করোনা ভাইরাসের জেরে এখন সবই স্মৃতির পাতায়। বছর শেষের আগের দিনের ছবি কোন ভাবেই দেখতে পাচ্ছে না এই বছরে। প্রতিমা বিক্রি থেকে পুরোহিত সবারই একই অবস্থা।
#কলকাতা: বাংলা বছরের শেষে থাকে প্রচুর আশা। বছর শেষ আগের দিনে থাকে প্রতিমা বিক্রির হুড়োহুড়ি।প্রতিমার বিকিকিনি এতটাই থাকে তাতে বাজারে কান পাতা দায় বাংলা বছরের শেষে কোন প্রতিমার কত দাম। করোনা ভাইরাসের জেরে এখন সবই স্মৃতির পাতায়। বছর শেষের আগের দিনের ছবি কোন ভাবেই দেখতে পাচ্ছে না এই বছরে। প্রতিমা বিক্রি থেকে পুরোহিত সবারই একই অবস্থা।
প্রতি বছর বিপুল অঙ্কের টাকায় প্রতিমা ক্রয় করেন হারাধন দাস। হারাধনের প্রতিমা এই বছরে থাকলেও বিক্রির জায়গাও পাচ্ছেন না। বিক্রি করতে হাজারো বিধি নিষেধ থাকলেও বসতে পাচ্ছেন না। সিমলা স্ট্রীটে যদিও জায়গা মিলল তাও নেই বিক্রি। সকাল থেকে বসে সারাদিনের উপার্জন তিনশো টাকা।
একই অবস্থা পুরোহিতের। সিমলা স্ট্রীটে বাসিন্দা শঙ্কর চক্রবর্তী পুজো করেন ২৮ বছর ধরে। বাংলা বছরের শুরুতে এতজন তার কাছে পুজোর আবদার করেন সব পুজো করা সম্ভব হয় না। প্রতি বছর আগে বুকিং এর ভিত্তিতে চলে পুজো। একবেলার পুজোতে পকেটে আসে প্রায় পাঁচ হাজর টাকা। এই বছর একটি পুজোরও ডাক পড়েনি তার। নিত্যদিনের পুজোতে এখনও ডাক থাকলেও তার সংখ্যা অনেক কম। এই বছর লকডাউনে দুই-তিনটি পুজো এলেও নমো নমো করে সারছেন তারা।
advertisement
advertisement
১লা বৈশাখের দিনের পুজোর এই অবস্থা দেখে পরে অনুষ্ঠান অক্ষয় তৃতীয়ার বাজার মন্দা যাবে তার স্পষ্ট বুঝতে পারেছেন শঙ্কর বাবু। এই অবস্থায় নিত্য দিনের পুজোর দক্ষিণাতে কোনভাবেই অভাব মিটছে না শঙ্কর বাবুর। পুজো ছেড়ে অন্য কাজ করার কথাও ভাবছেন এই পুরোহিত। লকডাউনে বড়ই চিন্তায় বছরের শুরুতেই বাঙালি। প্রশ্ন আর কত দিন?
advertisement
Susobhan Bhattacharya
view commentsLocation :
First Published :
April 13, 2020 10:11 PM IST