#শিলিগুড়িঃ সারা বছরই তিনি সকলের পাশে থাকেন। যে কোনও বিপদে পাশে দাঁড়ান। শীতকালে নিজের ওয়ার্ডের বয়স্কদের নিয়ে চড়ুইভাতিতে যোগ দেন। আবার বাঙালির সেরা পার্বন শারোদৎসবে প্রতিমা দর্শনে তাঁদের নিয়ে যান মণ্ডপ থেকে মণ্ডপে। পুজোয় নতুন শাড়ি, ধুতি, জামা, কাপড়ও কিনে দেন। তিনি রঞ্জন শীল শর্মা। বিতর্ক তাঁকে পিছু ছাড়ে না ঠিকই। তবে যে কোনও দুঃসময়ে যিনি গভীর রাতেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়েই চলছে লকডাউন। আগামী ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। পরবর্তীতে বাড়বে কি না, তা সময়ই বলবে। প্রায় দেড় মাসের বেশী সময় ধরে ঘরবন্দি মানুষ। আর এই সময়ে কাজ নেই। ফলে হাতে টাকাও নেই। আর তিনি যে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সেখানে দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী মানুষেরই সংখ্যাই বেশী। লকডাউনে চরম সংকটে এখানকার হাজার হাজার মানুষ। দু'বেলা খাবার জোগাড় করা যাদের কাছে এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁদের পাশে রয়েছেন এই কাউন্সিলর।
নিজের ওয়ার্ডেই নয় পাশের ৩৬ নং ওয়ার্ডের অসহায় মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। প্রতিদিন দুই থেকে তিন হাজার মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী। দুই ওয়ার্ডের ১২ থেকে ১৩ জায়গায় ক্যাম্প করে চলছে খাবার বিলি। ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার! ব্যবস্থা করছেন এই কাউন্সিলর। পাশাপাশি এলাকার শিশুদের মুখেও প্রতিদিন ব্রেকফাস্টের ব্যবস্থা করছেন। শুধুই খাদ্য সামগ্রী নয়, প্রয়োজনীয় ওষুধ থেকে অন্যান্য জরুরী সামগ্রীও তুলে দিচ্ছেন তিনি। ৩৬ ও ৩৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কাছে উনি ভগবান। খাবার বিলির পাশাপাশি ওয়ার্ড পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার হালহকিকতের খোঁজখবরও নিচ্ছেন। ওয়ার্ড স্যানিটাইজেশনের দিকেও নজর তাঁর। কাউন্সিলর জানান, "এখন এক কঠিন সময়। দুঃস্থ, অসহায় মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরিষেবা সমানভাবেই চলবে।"
Partha Sarkar