পরিচ্ছন্নতাই বাঁচার উপায়, হাত না ‘স্যানিটাইজ’ করে এই বাজারে ঢোকা নিষেধ
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
বাজারগুলিতে বেশি সংখ্যায় মানুষ জিনিসপত্র কিনছেন সেখানে কোনওরকম সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে না।
#রায়গঞ্জ: হাত পরিষ্কার না করেই সবজি বাজার থেকে সমস্ত কিছু বাজার করছেন। সাইকেল, মোটর সাইকেল বিভিন্ন জায়গায় গেলেও হাত ধোয়া হচ্ছে না। ফলে সেই সমস্ত জায়গা থেকে মারণ করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই বাজারে ক্রেতাদের হাত,পা,সাইকেল, মোটর সাইকেল স্যানিটাইজ করছেন প্রাথমিক শিক্ষক বিপ্লব মন্ডল।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা। স্যানিটাইজিং করা হচ্ছে সর্বত্র। কিন্তু গ্রাম এবং শহরের মানুষ এখনও এ বিষয়ে খুব বেশি সচেতন নন তা অনুভব করেছেন রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীবাড়ি সংলগ্ন একাকার বাসিন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিপ্লব মন্ডল। স্কুলে মিড ডে মিল দেবার আগে ছাত্রছাত্রীদের হাত পা ভাল করে ধূয়ে হাত সেনিটাইজ করার পর খাবার দেন। মারণ করোনা ভাইরাসের এখনও কোনও প্রতিষেধক ওষুধ বের হয় নি। এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে পরিচ্ছন্নতাই একমাত্র উপায়, এটা ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন বিপ্লব বাবু। বাজারগুলিতে বেশি সংখ্যায় মানুষ জিনিসপত্র কিনছেন সেখানে কোনওরকম সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে না।
advertisement
বাড়ির পাশেই বাজার প্রতিদিন বাজারে যত মানুষ আসছেন তাদের হাত- পা এবং তার সাইকেল, মোটরবাইক সেনিটাইজ করা হলে এলাকার মানুষ অনেকবড় বিপদের হাত থেকে রেহাই পাবেন। সেই অনুভূতি থেকেই একেবারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের স্যানিটাইজিং করার কাজে নেমে পড়েছেন বিপ্লববাবু।ভোর হতেই ঘাড়ে এক ব্যাগ হাতে দুটি বোতল একটিতে হ্যান্ড ওয়াস অন্যটিতে স্যানিটাইজার নিয়ে বাজারের সামনে দাড়িয়ে পড়ছেন। বাজারে যে সমস্ত ক্রেতা সবজি কিনতে আসছেন আগে তাদের হাতে - পায়ে হ্যান্ড ওয়াশ স্প্রে করছেন। তারপর তার হাতে স্যানিটাইজার দিচ্ছেন। হাত পরিষ্কার হওয়ার পর সেই ব্যক্তি বাজারে সবজি কেনার জন্য তার কাছ থেকে ছাড়পত্র পাচ্ছেন।
advertisement
advertisement
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বিপ্লববাবু এই কাজগুলো করছেন।বাজার শেষে সাইকেল বা মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় গাড়িতেও স্যানিটাইজ করে দিচ্ছেন বিপ্লববাবু। ক্লান্তিহীন ভাবে বিপ্লববাবু সমাজকে বাঁচাতে এই কাজ করে চলেছেন। তার এই কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক তাঁকে সহযোগিতা করতে এগিয়েও এসেছেন। বিপ্লববাবুর এ ধরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। বিপ্লববাবু জানিয়েছেন,মনের তাগিদেই এই কাজ করছেন। প্রথমে নিজের অর্থ দিয়ে এসমস্ত সামগ্রী কিনেছেন। তাঁর কাজকে উৎসাহ দিতে এরপর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তাঁকে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা রজত দাস জানিয়েছেন,বিপ্লববাবুর কাজ নিঃসন্দেহে অভিনন্দন যোগ্য।তাঁর কাজ থেকে অন্যরা এগিয়ে এলে মারণ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
Location :
First Published :
April 08, 2020 10:56 PM IST