লকডাউনের একঘেয়েমি কাটানোর দাওয়াই 'পাড়া রেডিও', বাজছে শ্রোতাদের অনুরোধের গান 

Last Updated:

বিকেল পাঁচটা বাজলেই গলির মুখে বাজছে বিভিন্ন শিল্পীর কণ্ঠে ভিন্ন স্বাদের বাংলা গান। চলে রাত প্রায় ন'টা পর্যন্ত। এলাকার বাসিন্দারা এখন নিয়মিত 'পাড়া রেডিও'র শ্রোতা।

#কলকাতাঃ 'পাড়া রেডিও'তে মন মজেছে পাটুলির। লকডাউন পর্বে সারা দেশ যেখানে ঘরবন্দি হয়ে লড়াই করছে করোনার সঙ্গে। সেখানে দক্ষিণ শহরতলির পাটুলির বাসিন্দাদের বিকেল-সন্ধে কাটছে একটু ভিন্ন স্বাদে। বিকেল পাঁচটা বাজলেই এখানকার গলির মুখে বাজছে বিভিন্ন শিল্পীর কণ্ঠে ভিন্ন স্বাদের বাংলা গান। চলে রাত প্রায় ন'টা পর্যন্ত। পাটুলির বাসিন্দারা এখন নিয়মিত 'পাড়া রেডিও'র শ্রোতা।
অনেকটাই এফএম রেডিওর মতোই চিন্তাভাবনা। রয়েছে বাছাই করা বাংলা গান। পরপর কয়েকটি গান বাজার পর রেডিওতে যেরকম বিজ্ঞাপন চলে, এখানে বিজ্ঞাপনের জায়গায় বাজছে করোনা সচেতনতার বার্তা। ঠিক তিনটি গান চলার পরই কিছু সময়ের জন্য এই সচেতনতার বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। তারপর আবার ফিরে যাচ্ছে গানে। যেহেতু কয়েকটি পাড়ার মধ্যে গান বাজানো হচ্ছে এবং এফএম রেডিওর মতই ব্যবস্থা, তাই এর নামকরণ করা হয়েছে 'পাড়া রেডিও'।
advertisement
advertisement
কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্ত ও পাটুলি থানা যৌথ ভাবে চালু করেছে এই 'পাড়া রেডিও'। লকডাউনের একঘেয়েমি জীবনে মানুষ যাতে একটু অক্সিজেন পায় সেজন্যই এমন চিন্তাভাবনা। আপাতত ওই ওয়ার্ডের চারটি পাড়ায় এই রেডিও শোনা যাচ্ছে। সেজন্য শতাধিক সাউন্ড বক্স ও মাইক বসানো হয়েছে পাড়ার বিভিন্ন গলির মুখে। দিন পনেরো আগে শুরু হয়েছে এই 'পাড়া রেডিও'। ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এলাকাবাসীর মধ্যে। প্রশংসাও কুড়িয়েছে।
advertisement
রেডিও চালুর পরে পাটুলির ছবিটাই যেন বদলে গিয়েছে। বিকেল পাঁচটার পর যেমন বাংলা গান শোনা যাচ্ছে, তেমনই দেখা যাচ্ছে, বাসিন্দারা বারান্দায় এসে রেডিও শুনছেন। কেউ কেউ চা-বিস্কুটও সহযোগে উপভোগ করছে পছন্দের বাংলা গান। পৌরপিতা বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত বলেন, "মানুষের একঘেয়েমি কাটাতে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। যেহেতু কিছুটা রেডিওর ধাঁচেই চলছে গানগুলি তাই পাড়া রেডিও নাম দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই আমরা একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করব যেখানে এলাকার মানুষ তাদের পছন্দের গান শোনার অনুরোধ রাখতে পারবেন। যেদিন অনুরোধ করা হবে পরদিনই আমরা সেই গান শোনাবো।" পাটুলি থানার ওসি সৌম ঠাকুরের কথায়, "গান অনেক ক্ষেত্রে থেরাপির কাজ করে। তাই মানুষের মন ভালো রাখতে এই আয়োজন।"
advertisement
হেমন্ত, মান্না থেকে শুরু করে নচিকেতা, শ্রেয়া ঘোষাল সবই আছে প্লে-লিস্টে। রয়েছে আগমনীর গানও। বিকেল পাঁচটা বাজলেই 'কন্ট্রোলরুম' থেকে বাজানো হচ্ছে সেইসব বাংলা গান।
১০১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা সংগীত শিক্ষিকা মধুমিতা ঘোষ বলেন, "হঠাৎই একদিন বিকেলে শুনছি দূর থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত ভেসে আসছে। পরে বুঝলাম এই আয়োজন আমাদের জন্যই। খুব ভাল উদ্যোগ। গান সত্যিই মানুষের মন ভাল রাখে। আমরা নিশ্চিত আমরা ভাল থাকব। এই লড়াইয়ে জিতবো আমরা।" এখন দেখার এই অভিনব 'পাড়া রেডিও'র ভাবনা শুধু পাটুলিতেই সীমাবদ্ধ হয়ে থাকে, নাকি অন্য পাড়াতেও শোনা যায় এই গানের আয়োজন।
advertisement
SUJOY PAL
view comments
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
লকডাউনের একঘেয়েমি কাটানোর দাওয়াই 'পাড়া রেডিও', বাজছে শ্রোতাদের অনুরোধের গান 
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement