Cooch Behar: স্থায়ী পরিকল্পনার অভাবে ধুঁকছে কোচবিহারের তেকোনিয়া ইকো-পার্ক
Last Updated:
কোচবিহারের একটি অন্যতম ইকো পার্ক হল মাথাভাঙ্গা মহকুমার মানসাই নদীর তীরে অবস্থিত তেকোনিয়া ইকো-পার্ক।
কোচবিহার: কোচবিহারের একটি অন্যতম ইকো পার্ক হল মাথাভাঙ্গা মহকুমার মানসাই নদীর তীরে অবস্থিত তেকোনিয়া ইকো-পার্ক। প্রকৃতির মাঝে অবস্থিত এই ইকো-পার্কে রয়েছে অপরূপ প্রকৃতিক সৌন্দর্য। এই পার্কের প্রকৃতিক সৌন্দর্য সহজেই যেকোন পর্যটকের মন ছুঁয়ে নিতে পারে। তবে বর্তমানে এই পার্কটি নিজের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জেল্লাকে ধীরে ধীরে হারাতে বসেছে বিভিন্ন পরিকাঠামোগত সমস্যায় জর্জরিত হয়ে।
advertisement
তেকোনিয়া ইকো-পার্কের গুগল লোকেশন:
advertisement
তীব্র সরকারি অবহেলা এবং বনদফতরের সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অভাব এই পার্কটিকে ধীরে ধীরে করে তুলেছে পর্যটক বিমুখী। একটা সময় পার্কে প্রচুর পাখি এবং জন্তুরা থাকলেও, বর্তমানে এখানে সেগুলি কিছুই নেই। দেখা যায় শুধুমাত্র দু-চারটি ফ্রেঞ্চ গিনি চিকেন (French Pearl Guinea Fowl) পাখিকে। তাও সেগুলিও না থাকার মতন অবস্থাতেই রয়েছে। সঠিক পরিচর্যার অভাবে সেগুলিও প্রায় রোগগ্রস্ত অবস্থাতে ধুঁকছে। এছাড়া মেইন রোড থেকে পার্ক পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাটির ও বেহাল দশা হয়ে রয়েছে। ভেঙে গিয়েছে রাস্তার অধিকাংশ অংশ। গোটা রাস্তা জুড়ে নেই কোন আলোর ব্যবস্থা। সন্ধ্যের অন্ধকার নামলেই এখানে জমে ওঠে বিভিন্ন ধরনের নেশাগ্রস্থদের আনাগোনা।
advertisement
তবে এই সকল বিষয় নিয়ে কোন রকম ভ্রুক্ষেপ নেই বনদফতর থেকে শুরু করে সরকারি মহলের একাংশের। তবে বর্তমানে কিছুটা আশার আলো দেখতে শুরু করেছে পার্কটি। বনদফতরের পক্ষ থেকে এখানে কিছু ঘড়িয়াল (Fish Eating Crocodile) নিয়ে আসার পরিকল্পনা শুরু করা হয়েছে। তবে তা বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে কতটা সঠিক হবে? কারণ, এই প্রাণীরা মূলত নোনা জলের জীব। এরা থাকতে ভালো বাসে নদীর মোহনা এলাকায়। যেখানে সাগরের নোনা জল এসে নদীর জলের সাথে মেশে। এছাড়াও এদের প্রকৃতিক আবাসস্থল হল নদীর তীরবর্তী বালু মাটির জায়গা। যেখানে এরা প্রকৃতিক ভাবে প্রজনন করে থাকে।
advertisement
পার্কের গেট দিয়ে ঢুকতে হাতের বাদিকে একটি ছোট পুকুর খনন করা হয়েছে। এবং পুকুরের নিচের অংশ পাকা করে দেওয়া হয়েছে। এখানেই এনে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে ঘড়িয়াল (Fish Eating Crocodile) গুলিকে। তাই এদের এখানে এনে রাখলে, এদের সঠিক পরিচর্যা করা হবে কিনা? সেটা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কারণ, বিগত সময়ে প্রচুর পশু-পাখি এখানে থাকলেও তারাও সঠিক পরিচর্যার অভাবে মারা গেছে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে একটিও মন্তব্য করতে নারাজ বনদফতরের আধিকারিকেরা। এই প্রাণী গুলিকে নিয়ে আসার পর যদি আবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করা হয় বনদফতরের পক্ষ থেকে সেটা রীতিমত অন্যায় হবে এই জীব গুলির ওপর।
advertisement
Sarthak Pandit
Location :
First Published :
June 13, 2022 9:21 PM IST