চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পরেও কি EPF অ্যাকাউন্টে সুদ জমা হতে থাকে? জেনে নিন খুঁটিনাটি

Last Updated:

চাকরি ছেড়ে দেওয়া বলতে ঠিক কী বুঝতে হবে? অবসর না প্রতিষ্ঠান বদল?

#নয়াদিল্লি: ভবিষ্যতের লক্ষ্যে আর্থিক সঞ্চয়ের অন্যতম মাধ্যম হল EPF। যার পুরো কথাটা হল Employee Provident Fund। নাম থেকেই বুঝে নেওয়া যায় যে এই ফান্ড একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সূত্রে গড়ে ওঠে। প্রতি মাসে কর্মীর বেতনের একটা নির্দিষ্ট অংশ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান জমা করতে থাকে এই ফান্ডে। সেই জমা টাকার ভিত্তিতে পাওয়া যায় আয়করবিহীন সুদও। আর ঠিক এখান থেকেই একটা প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে- চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পরেও কি EPF অ্যাকাউন্টে সুদ জমা হতে থাকে?
এই প্রশ্নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠে আসে আরও একটা প্রশ্ন- চাকরি ছেড়ে দেওয়া বলতে ঠিক কী বুঝতে হবে? কেন না, বর্তমান নিয়ম অনুসারে ৫৮ বছর বয়স পর্যন্ত জনৈক ভারতীয় নাগরিক কোনও প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারেন। তার পরে তাঁকে চাকরি ছাড়তে হয়। আবার এই ৫৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার সময়সীমার মধ্যেই জনৈক কর্মী একাধিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি বদল করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রেই পুরনো প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন প্রতিষ্ঠানে EPF অ্যাকাউন্ট স্থানান্তরিত করা হয়ে ওঠে না। সেক্ষেত্রে কি সুদ জমা হতে থাকে অ্যাকাউন্টে?
advertisement
উল্লেখযোগ্য যে, ৫৮ বছর বয়স পর্যন্ত জনৈক ভারতীয় নাগরিকের EPF অ্যাকাউন্টে করমুক্ত সুদ জমা হতেই থাকে, নতুন কন্ট্রিবিউশন থাকলেও এবং না থাকলেও! তবে ৫৮ বছরের পরে আয়কর আইন অনুসারে এই সুদ করযোগ্য হয়ে ওঠে।
advertisement
এই জায়গায় এসে ৫৮ বছরের বয়সসীমার মধ্যে কোনও চাকরিতে ইস্তফা দেওয়ার বিষয়টিও সামান্য হলেও ব্যাখ্যা করতেই হয়। কেন না এক্ষেত্রে EPF অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার বিষয়টা থাকে। জানা যায় যে অবসর গ্রহণের পরে ৩৬ মাস পর্যন্ত সময় পাওয়া যায় EPF অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া পুরো টাকা তুলে নেওয়ার, এর পরে অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। আবার কেউ যদি এক প্রতিষ্ঠানের কাজ ছেড়ে দেন, তাহলে দুই মাস পর্যন্ত তিনি EPF অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া টাকা তুলে নেওয়ার সময় পান। শর্ত একটাই- এই দুই মাসের মধ্যে অন্য কোনও চাকরিতে যোগ দেওয়া চলবে না। তবে পরিস্থিতি যাই হোক, একবার নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে EPF অ্যাকাউন্টে আর কোনও সুদ জমা পড়ে না।
advertisement
এই প্রসঙ্গে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন পরিস্থিতিতে EPFO নিয়ম অনুসারে EPF অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়-
১. ৫৫ বছরের পরে যদি কর্মী চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
২. যদি কর্মী স্থায়ী ভাবে বিদেশে চলে যান।
৩. কর্মীর মৃত্যু হলে EPF অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
৪. যদি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ৩৬ মাসের মধ্যে টাকা তোলার আবেদন না করা হয়, তাহলেও অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
advertisement
আবার, EPF অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া সুদ করযোগ্য হবে কি হবে না, তা আরও একটি বিষয়ের উপরে নির্ভর করে, সেটি হল নিরবচ্ছিন্নতা। এক্ষেত্রে এটা দেখা হয় যে ৫ বছরের মধ্যে কর্মী নিয়মিত টাকা জমা করছেন কি না! এই ৫ বছরের সময়সীমার মধ্যে চাকরি বদলালেও যেহেতু টাকা জমা পড়ছে, সেই জন্য কোনও অসুবিধা হয় না।
advertisement
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা EPF অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার জটিলতা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য দু'টি পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রথমত, চাকরি বদলালে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে EPF অ্যাকাউন্ট স্থানান্তর করা, তা না হলে এই ৫ বছরের সময়সীমায় নিরবচ্ছিন্ন ভাবে টাকা জমা পড়বে না। দ্বিতীয়ত, ৫৫ বছরের পর অবসর নিলে দেরি না করে তাড়াতাড়ি টাকা তোলার আবেদন করা উচিত, সে সময়সীমা যতই ৩৬ মাস পর্যন্ত থাক না কেন!
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পরেও কি EPF অ্যাকাউন্টে সুদ জমা হতে থাকে? জেনে নিন খুঁটিনাটি
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement