ফিনটেক দুনিয়ার বিপ্লব নিও ব্যাঙ্ক, অফিসে যেতে হবে না, ঘরে বসেই হবে লেনদেন, জানুন বিস্তারিত

Last Updated:

What is a Neobank: সাধারণ ব্যাঙ্কের থেকে নিও ব্যাঙ্ক আলাদা কোথায়? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে নামেই।

ফিনটেক দুনিয়ার বিপ্লব নিও ব্যাঙ্ক, অফিসে যেতে হবে না, ঘরে বসেই হবে লেনদেন, জানুন বিস্তারিত
ফিনটেক দুনিয়ার বিপ্লব নিও ব্যাঙ্ক, অফিসে যেতে হবে না, ঘরে বসেই হবে লেনদেন, জানুন বিস্তারিত
#কলকাতা: ফিনটেক দুনিয়ায় নতুন বিপ্লব নিও ব্যাঙ্ক। সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যবসায় জোয়ার এসেছে। বহু নতুন মুখ পা রেখেছে এই দুনিয়ায়। এঁরা আর্থিক পরিষেবাগুলিকে করে তুলেছে সহজ। নিয়ে এসেছে গ্রাহকের হাতের মুঠোয়। যা যথাযথভাবে আজকের ডিজিটাল প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণ করে (What is a Neobank)।
কিন্তু প্রশ্ন হল, সাধারণ ব্যাঙ্কের থেকে নিও ব্যাঙ্ক আলাদা কোথায়? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে নামেই। নিও ব্যাঙ্ক হল ডিজিটাল ব্যাঙ্ক, যার কোনও শাখা নেই। অর্থাৎ লেনদেনের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে শারীরিক উপস্থিতির কোনও প্রয়োজন নেই। নিও ব্যাঙ্কের কাজ হয় পুরোপুরি অনলাইনে। প্রাথমিকভাবে টেক স্যাভি প্রজন্মকে এক ছাতার তলায় আনাই এর লক্ষ্য। এককথায় বলতে গেলে নিও ব্যাঙ্ক হল একটি ফিনটেক ফার্ম যা পেমেন্ট, ডেবিট কার্ড, অর্থ লেনদেন, ঋণ এবং আরও অনেক কিছুকে মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটালি গ্রাহকের কাছে হাজির করে।
advertisement
advertisement
সাধারণ ব্যাঙ্ক যে পরিষেবাগুলি দেয় এবং ডিজিটাল প্রজন্মের গ্রাহকরা যে পরিষেবা চায়, এই দুইয়ের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান রয়েছে। এই ব্যবধান মিটিয়ে টেক স্যাভি প্রজন্মকে তুষ্ট করবে নিও ব্যাঙ্ক। কীভাবে? সাধারণ ব্যাঙ্কগুলি তাদের কাঠামোকে এখনও পুরোপুরি ডিজিটাল করে উঠতে পারেনি। ফলে ব্যাঙ্কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়েই সময় ‘নষ্ট’ করেই গ্রাহককে পরিষেবা নিতে হয়। সেখানে নিও ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকের ডেটা বিশ্লেষণ করে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পরিষেবা দেওয়া হয়।
advertisement
এর ফলে গ্রাহকদের কাছ থেকে সাধারণ ব্যাঙ্ক যে ফি নেয়, নিও ব্যাঙ্ক নেয় তার থেকে অনেক কম। বলা যায় নামমাত্র। কারণ শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে পরিষেবা দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে পরিকাঠামো খাতে যে অর্থ ব্যয় করতে হয় নিও ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে তা শূন্য। নিও ব্যাঙ্ক প্রযুক্তি চালিত হওয়ায় পরিষেবা দেওয়া যায় নির্ঝঞ্ঝাটে। অ্যাকাউন্ট খোলা যায় সহজে।
advertisement
নিও ব্যাঙ্কের কোনও অফিস নেই। গ্রাহকরা ঘরে বসেই তাঁদের স্মার্ট ফোন থেকে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। প্রযুক্তির মাধ্যমে কেওয়াইসি দিয়ে তথ্য পূরণ করলেই কয়েক মিনিটের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। সাধারণ ব্যাঙ্কের মতো সশরীরে গিয়ে ফর্ম ফিলাপ করে ৮ থেকে ১০ দিন অপেক্ষা করতে হবে না।
advertisement
কীভাবে নিও ব্যাঙ্কের পরিষেবা পাওয়া যাবে? ঠিক যেভাবে জোম্যাটোর মাধ্যমে খাবার অর্ডার দেওয়া হয় বা উবের ক্যাব বুক করা হয়, অর্থাৎ অ্যাপের মাধ্যমে। নিও ব্যাঙ্কও তার অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পরিষেবা প্রদান করে।
ভারতে নিওব্যাঙ্কগুলির নিজস্ব কোনও ব্যাঙ্ক লাইসেন্স নেই৷ পরিবর্তে তারা ব্যাঙ্ক-লাইসেন্স পরিষেবা প্রদানের জন্য নিয়ন্ত্রিত ব্যাঙ্ক অংশীদারদের উপর নির্ভর করে। জুপিটার, এফআই, নিও, এবং রেজরপেএক্স-এর মতো বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী ব্যাঙ্কের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করছে নিও ব্যাঙ্ক।
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
ফিনটেক দুনিয়ার বিপ্লব নিও ব্যাঙ্ক, অফিসে যেতে হবে না, ঘরে বসেই হবে লেনদেন, জানুন বিস্তারিত
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement