Success Story: ৫ দিনে ৩০ হাজার টাকা ! রাঁচির মেয়ের লাভজনক ব্যবসা অঢেল টাকা এনে দিতে পারে আপনাকেও

রাঁচি: পুজোর ভোগে অপরিহার্য, এমন খাবার বাজারে বিক্রি হচ্ছে, সে ঘটনা নতুন নয়। দোলের সময়ে মালপোয়া, জন্মাষ্টমীতে তালের বড়া, কোজাগরী পূর্ণিমায় নারকেল নাড়ু এক সময়ে ঘরে ঘরে তৈরি হত। এখন তা সগর্বে ঠাঁই করে নিয়েছে মিষ্টির দোকানে। ঠিক সেরকমই ছটের মূল ভোগ ঠেকুয়াও এখন বাজারে নিজের জায়গা করছে।

ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির বাসিন্দা নিশা তাই ছটের সময় যথেষ্ট আয় করেন। তিনি প্রতিদিন ৬,০০০ থেকে ৭,০০০ টাকার অর্ডার পান। নিশা ছটের জন্য ঠেকুয়া তৈরি করেন। তিনি বিগত পাঁচ বছর ধরে এই কাজ করে চলেছেন, তিনি ঠেকুয়া তৈরিতে পবিত্রতা অক্ষুণ্ণ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি অন্যান্য ব্যবসাও পরিচালনা করেন, কিন্তু ছটে মাত্র চার থেকে পাঁচ দিনেই তিনি যথেষ্ট আয় করেন।

নিশা জানান যে, যখন তিনি ছটের এই প্রসাদ তৈরি করেন, তখন তিনি পুরো দিন না খেয়ে থাকেন। এর জন্য তাঁর বাড়িতে একটি আলাদা গ্যাস ওভেন থাকে। তিনি স্নানের পরে এই ভোগ প্রস্তুত করেন। লোকেরা বাড়িতে এসে এই সব কিছু দেখেও যায়। এটি তাঁকে এতটাই বিশ্বস্ত করে তুলেছে যে, তিনি অনেকের কাছ থেকেই অর্ডার পান। তিনি খাঁটি ঘি ব্যবহার করে বাড়িতে এগুলি তৈরি করেন, যেখানে ১ কেজির দাম ২০০ টাকা পর্যন্ত যায়।

নিশা ব্যাখ্যা করেন যে, ছটের সময় পবিত্রতাই মূল কথা। এই পবিত্রতাই তাঁর ভোগের ব্যবসার মূল চাবিকাঠি। তিনি এবং তাঁর স্বামী উভয়েই এই বিষয়ের সবিশেষ খেয়াল রাখেন। যদি এর প্রতি মানুষের অটল বিশ্বাস বজায় না থাকে, তাহলে তারা তো আর অর্ডার দেবে না!

আর গ্রাহকরাও একবার পবিত্রতার বিষয়ে আস্থা রাখতে পারলে অন্য কোথাও যাবেন না। তাঁরা অর্ডার দেবেনই। এটি সম্পূর্ণ বিশ্বাসের বিষয়। এমন পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সততার সঙ্গে নিজের কাজ করে যেতে হবে। বর্তমানে প্রতিদিন নিশার তৈরি ঠেকুয়ার ৬৫ কেজি পর্যন্ত চাহিদা রয়েছে।

নিশা বলেন যে, বর্তমানে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ থেকেও অর্ডার আসছে। রাঁচির মধ্যে ডেলিভারি বিনামূল্যে, তবে কেউ যদি রাঁচির বাইরে অর্ডার করেন, তাহলে সর্বনিম্ন ৪০ থেকে ৫০ টাকা ডেলিভারি চার্জ লাগবে। এটি অত্যন্ত যত্ন সহকারে প্যাকিং করা হয়। তাই বর্তমানে গড় আয় সহজেই ৪০,০০০-৫০,০০০ টাকায় পৌঁছাতে পারে। গ্রাহকরা ৯৭০৯০৬০৫০১ এই নম্বরে কল করে অর্ডার দিতে পারেন।