অতিমারী পরবর্তী অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন! আসন্ন বাজেটে প্রবীণ নাগরিকের কী লাভ হতে পারে জেনে নিন

Last Updated:

বেশ কিছু প্রয়োজন রয়েছে প্রবীণ নাগরিকের জন্য যা নিয়ে আসন্ন বাজেটে অর্থমন্ত্রীর পরিকল্পনা করা উচিত।

অতিমারী পরবর্তী অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন! আসন্ন বাজেটে প্রবীণ নাগরিকের কী লাভ হতে পারে জেনে নিন
অতিমারী পরবর্তী অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন! আসন্ন বাজেটে প্রবীণ নাগরিকের কী লাভ হতে পারে জেনে নিন
নয়াদিল্লি: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সরকার বদলাবে কি না, তা এই মুহূর্তে গোটা দেশে লাখ টাকার প্রশ্ন তৈরি করছে। তবে তার আগে সকলের চোখ থাকতে চলেছে ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এটিই সম্ভবত হতে চলেছে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তাই স্বতন্ত্র কর-দাতারা আশা করছেন যে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বেশ কিছু কর সুবিধার কথা ঘোষণা করতে পারেন। সে আশায় আগামী ১ ফেব্রুয়ারির দিকে তাকিয়ে রয়েছে আমজনতা থেকে তাবড় নেতামন্ত্রী এবং ব্যবসায়ীরা।
এরই মধ্যে অনেকখানি প্রত্যাশা রয়েছে দেশের প্রবীণ নাগরিক অর্থাৎ ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের। এর মধ্যে অন্যতম হল ৬০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকের জন্য প্রাথমিক কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা ৩ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা, অতিপ্রবীণ নাগরিক, যাঁদের বয়স ৮০ বছরের উপরে তাঁদের সমতুল্য করা।
advertisement
advertisement
তবে শুধু কর ছাড় নয়, অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের আশা আরও বেশ কিছু প্রয়োজন রয়েছে প্রবীণ নাগরিকের জন্যযা নিয়ে আসন্ন বাজেটে অর্থমন্ত্রীর পরিকল্পনা করা উচিত।
১. স্বাস্থ্য খাত ও করছাড়
বিশেষজ্ঞদের মতে এর মধ্যে অন্যতম হতে পারে স্বাস্থ্য বিমা। যে সব প্রবীণ নাগরিক স্বাস্থ্য বিমা কিনেছেন, তাঁদের জন্য চিকিৎসা ব্যয়ের উপর কর ছাড়ের অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন। উচ্চ প্রিমিয়ামের উপর ৮০ডি ধারার অধীনে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড় দেওয়া যেতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন। এমনকী যদি তাঁদের সন্তানরাও তাদের পক্ষ থেকে প্রিমিয়াম প্রদান করেন, তবে তাঁদেরও এই ছাড়ের সুবিধা দেওয়া উচিত।
advertisement
বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, এই দেশে সরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা খরচ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নয়। ফলে নীতিগত ভাবেই সরকারের উচিত কোনও সীমা ছাড়াই চিকিৎসা ব্যয়ের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ ছাড় দেওয়া। বস্তুত, নিয়মিত স্বাস্থ্য বিমাও বহির্বিভাগের রোগীদের (ওপিডি) খরচ যেমন ওষুধের বিল, চিকিৎসকে ফি এবং ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা ইত্যাদির খরচ বহন করে না।
advertisement
অন্তত কোভিড অতিমারী পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রদত্ত স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামের উপর ৮০ডি ধারায় কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করার প্রয়োজন রয়েছে। অতিমারীর পর স্বাস্থ্য বিমায় প্রিমিয়াম বৃদ্ধি পেয়েছে, আবার অনেকে স্বেচ্ছায় এই খরচ বাড়িয়েছেন, রোগের আশঙ্কায়।
সে ক্ষেত্রে যদি একজন প্রবীণ নাগরিক দম্পতি একটি পর্যাপ্ত, বৃহৎ কভার বেছে নিতে চান, তা হলে প্রিমিয়ামের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকার বেশিও হতে পারে। ফলে কেন্দ্রীয় বাজেটে এই খাতে ৮০ডি ধারায় কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা এক লাখ টাকায় উন্নীত করার দিকে নজর দেওয়া উচিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
২. সঞ্চয় এবং স্থায়ী আমানতের সুদে ছাড়ের উর্ধ্বসীমা
প্রবীণ নাগরিকরা ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিস সেভিংস ও ফিক্সড ডিপোজিট-এর উপর অর্জিত সুদে ৮০টিটিবি ধারায় আওতায় মাত্র ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে এটি যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রবীণ নাগরিকদের সঞ্চয় এবং আয়ের সীমিত উৎস যথেষ্ট নয়। সে কারণেই এই ক্ষেত্রে কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা ১ লক্ষ টাকায় উন্নীত করা উচিত।
advertisement
৩. করমুক্ত পেনশন
এটি দীর্ঘ দিনের দাবি। শুধুমাত্র প্রবীণ নাগরিকদের নয়, জীবন বিমা সংস্থাগুলির তরফ থেকেও পেনশনকে করমুক্ত করার দাবি রয়েছে৷ বর্তমানে, অবসরপ্রাপ্তদের যে অ্যানুইটি বা পেনশন দেওয়া হয় তা তাঁদের অবসরকালীন তহবিলের মাধ্যমেই। এই তহবিল দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা সঞ্চয় করেছেন। এটি যেমন জাতীয় পেনশন সিস্টেম (এনপিএস) তহবিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, পাশাপাশি জীবন বিমাকারীদের পেনশন পলিসির মাধ্যমে কেনা অ্যানুইটির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অবসরপ্রাপ্তরা যে অর্থ পেনশন হিসেবে পেয়ে থাকেন, তা ইতিমধ্যেই তাঁরা রোজগার করেছেন, মূল এবং সুদ-সহ সেই উপার্জন করযুক্তই ছিল। ফলে প্রবীণ নাগরিকরা আশা করতেই পারেন যে তাঁদের অন্তত মূল অর্থটিকে আয়কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে সেই দাবি পূরণ হয় কি না, তা-ই দেখার।
advertisement
৪. প্রবীণ নাগরিকদের নির্দিষ্ট আয়ের উৎস
২০২২ সালে একাধিক দফায় রেপো রেট বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তারই ফলে ক্রমশ বেড়েছে গৃহ ঋণের উপর প্রদত্ত সুদের হার। এতে ঋণগ্রহীতারা বেজায় অস্বস্তিতে। কিন্তু রেপো রেট বৃদ্ধির ফলে আমানতকারীরা অনেকেই খুশি। স্থায়ী আমানতে প্রবীণ নাগরিকদের ভাল রিটার্ন দেওয়া যাচ্ছে। তবে সুদের হার পরিবর্তনশীল, তার নির্দিষ্ট চক্রও রয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট আয়ের সম্ভাবনা কম। বর্তমানে, সিনিয়র সিটিজেন সেভিং স্কিম (এসসিএসএস) এবং প্রধানমন্ত্রী ভাইয়া বন্দনা যোজনা (পিএমভিভিওয়াই)-দু’টি প্রবীণদের নির্দিষ্ট আয়ের উপকরণ। এই রকম আরও একটি বিশেষ ব্যবস্থা চাইতেই পারেন প্রবীণরা, যার ন্যূনতম স্থির সুদের হার থাকবে। সে ক্ষেত্রে ৭.৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের সীমা থাকতে পারে।
৫. সহজ কর রিটার্ন এবং ফেরত প্রক্রিয়া
আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যে সমস্ত প্রবীণ নাগরিকদের আয় করযোগ্য নয়, তাঁদের জন্য ‘ট্যাক্স রিফান্ড’ দাবির প্রক্রিয়া সহজ করা উচিত। আয়কর বিভাগের হাতে থাকা প্রযুক্তি এবং তথ্যের বর্ধিত ব্যবহার করে এটি খুব সহজেই করা যায়। ১৯৪পি ধারায় ৭৫ বছর বা তার বেশি বয়সের নাগরিকদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করা থেকে অব্যাহতি দেওয়া যায়। তবে শর্ত থাকে যে ব্যক্তি শুধুমাত্র পেনশন এবং সুদের আয়ের উপর নির্ভরশীল। সুদের আয় একই নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক থেকে অর্জিত হয় যেখানে পেনশন জমা হয়৷ এই সুবিধা ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদেরও দেওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে।
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
অতিমারী পরবর্তী অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন! আসন্ন বাজেটে প্রবীণ নাগরিকের কী লাভ হতে পারে জেনে নিন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement