Money Making Ideas: জৈব সারের চাষ, এক মরশুমে লক্ষাধিক টাকা আয়, মালামাল কৃষক
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- hyperlocal
- Reported by:Ranjan Chanda
Last Updated:
Money Making Ideas: জৈব সার ব্যবহার করে এক কৃষক মাত্র এক মরশুমেই লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন। কম খরচে বেশি উৎপাদন এবং মাটির গুণগত মান বজায় রেখে এই চাষাবাদ দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক প্রমাণিত হচ্ছে।
পিংলা, পশ্চিম মেদিনীপুর: বর্তমান দিনে ধান চাষের পরিবর্তে চাষিরা বিকল্প আয়ের দিশা খুঁজছেন। সামান্য জায়গায় নিত্যনতুন চাষ করে মালামাল হচ্ছেন কৃষকেরা। কখনও অজৈব সারভিত্তিক, আবার কখনও জৈব সার দিয়ে বিভিন্ন ধরনের চাষ করছেন প্রান্তিক এলাকার কৃষকেরা। যেখানে ধান চাষের রমরমা ছিল, সেই মাটিতেই হচ্ছে বিদেশি নানান ফলের চাষ। সামান্য জায়গায় বার্ষিক কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হতে পারে এই চাষ করে। বর্তমান দিনে বাজারে চাহিদা রয়েছে ড্রাগন ফলের। অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং উপকারি এই ফল চাষ হচ্ছে জেলার বিভিন্ন জায়গায়। সামান্য জায়গায় বেশ কয়েকটি গাছ লাগিয়ে মাসে বেশ কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করছেন কৃষকেরা। তবে এবার এক ব্যক্তি সেই ড্রাগনই চাষ করছেন সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে।
মাত্র সাত থেকে আট ডেসিমেল জায়গাতে ড্রাগনের চাষ করে প্রতি বছর বেশ কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করছেন অত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার এক কৃষক। অন্যান্য কাজের পর সামান্য পরিচর্যায় এবং সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতি নির্ভর ড্রাগন ফলের চাষ করে মালামাল হচ্ছেন তিনি। গোবর সার, হাড় গুড়ো সহ নানান প্রাকৃতিক সার ব্যবহার করে এই চাষ করছেন। যার থেকে প্রতি বছর বেশ আয় হচ্ছে তার।
advertisement
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম পিংলার দুজিপুর মুকুন্দ চক এলাকার বাসিন্দা অমল কুমার দাস। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি তার বাড়ির বেশ কয়েক ডেসিমেল জায়গাতে লাগিয়েছেন এই ড্রাগন ফলের গাছ। মূলত রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে সামান্য জৈব সার প্রয়োগ এই গাছ বড় করে তুলেছেন তিনি। প্রথমে ডেবরা থেকে চারা গাছ এনে তিনি তা লাগিয়েছেন। সর্বমোট খরচ হয়েছে বেশ কয়েক হাজার টাকা। প্রথম দুবছর সামান্য ফল দিলেও তৃতীয় বছর থেকে বেশ ফলন হচ্ছে তার। বাড়ি থেকেই বিক্রি হচ্ছে এই ফল।
advertisement
পাইকারি দরে ২০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ড্রাগন ফল। প্রতিটি মরশুমে প্রতিটি গাছ থেকে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কেজি ফলন পাচ্ছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে বার্ষিক সামান্য পরিচর্যা এবং জৈব সার ব্যবহার করে এই চাষ করলে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় হতে পারে।
চাকরি কিম্বা অন্যান্য চাষ না করে সামান্য পরিচর্যায় এবং জৈব পদ্ধতিতে ড্রাগন ফলের চাষ করে মালামাল হতে পারবেন যুবক প্রজন্ম, সেই বার্তাই দিচ্ছেন এই ব্যক্তি। তার এই সৃষ্টিশীলতা এবং ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
advertisement
রঞ্জন চন্দ
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
August 12, 2025 7:52 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Money Making Ideas: জৈব সারের চাষ, এক মরশুমে লক্ষাধিক টাকা আয়, মালামাল কৃষক