হোম /খবর /ব্যবসা-বাণিজ্য /
গত ১৫ দিনে বেড়েছে যাত্রীর সংখ্যা, উৎসব মরশুমের দিকে তাকিয়ে বিমান পরিবহণ সংস্থা

গত ১৫ দিনে বেড়েছে যাত্রীর সংখ্যা, উৎসব মরশুমের দিকে তাকিয়ে বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলি

গত ১৫ দিনে বেড়েছে যাত্রীর সংখ্যা, উৎসব মরশুমের দিকে তাকিয়ে বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলি

গত ১৫ দিনে বেড়েছে যাত্রীর সংখ্যা, উৎসব মরশুমের দিকে তাকিয়ে বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলি

বিমান ভাড়ার সীমা অপসারণের পর তুলনামূলক কম যাত্রী হয় এমন রুটে টিকিটের দাম কমানো এবং যাত্রী আগ্রহের ক্ষেত্রে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভ্রমণ শিল্প বিশেষজ্ঞরা।

  • Last Updated :
  • Share this:

কলকাতা: করোনা অতিমারীর দু’বছর কাটিয়েও ছন্দে ফিরতে পারছে না বিমান পরিবহণ ব্যবসা। বিমান ভাড়ার সীমা অপসারণের পর তুলনামূলক কম যাত্রী হয় এমন রুটে টিকিটের দাম কমানো এবং যাত্রী আগ্রহের ক্ষেত্রে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভ্রমণ শিল্প বিশেষজ্ঞরা। করোনা অতিমারীর দাপটে প্রায় বিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি।

গত ৩১ অগাস্ট কেন্দ্রের তরফে বেঁধে দেওয়া বিমান ভাড়ার উর্ধ্ব ও নিম্নসীমা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা ক্ষেত্রে যাত্রী যাতায়াত ধীরে ধীরে বাড়ানোর জন্যই প্রায় দু’বছর পর এই পদক্ষেপ করা হয়। কিন্তু বিমান টিকিটের গড় বুকিং মূল্য খুব বেশি পরিবর্তিত হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভাড়া হ্রাস করা হয়েছে। আর তাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে কোনও কোনও ক্ষেত্রে কিছুটা বৃদ্ধি হয়েছে।

দেশের বৃহত্তম এয়ারলাইন ইন্ডিগো অবশ্য দাবি করেছে, বিমান ভাড়ার সীমার অপসারণের পর ‘ডায়নামিক’ ভাড়ার বিষয়টি ফিরে আসতে পারে। গত পাঁচ, ছ’মাসে যাত্রীর সংখ্যা ধারাবাহিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। কিন্তু ভাড়ার সীমা প্রত্যাহারের বিষয়ে স্পষ্ট করে কোনও মন্তব্যই করতে চায়নি তারা।

আরও পড়ুন- প্রতিটা মেয়ের মধ্যেই রয়েছেন স্বয়ং মা দুর্গা! স্ব-মহিমায় উজ্জ্বল বাঙালি নারীদের কুর্নিশ করতেই বাজারে এল ‘ঐশানী’

গ্লোবাল বিজনেস ট্রাভেল , থমাস কুক (ইন্ডিয়া) এবং এসওটিসি ট্র্যাভেলের সভাপতি ও প্রধান, ইন্দিবর রস্তোগি বলেন, বিমান ভাড়ার সীমাবদ্ধতা অপসারণের ফলে তুলনামূলক ভাবে কম যাত্রী হয় এমন রুটে টিকিটের দাম কমিয়ে দেওয়া যাবে। তাতে গ্রাহকের সুবিধা হবে। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই অমৃতসর, লখনউ, দেহরাদুন, সুরাত, নাগপুর এবং পুণের মতো রুটে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সব ক্ষেত্রে ভাড়ার সীমাবদ্ধতা অপসারণের পরে প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ মূল্য কমানো গিয়েছে।

রস্তোগি জানিয়েছেন, একই ভাবে কেন্দ্র এই সীমাবদ্ধতার নির্দেশ তুলে নেওয়ার পর ১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ মুম্বই, পুণে, দিল্লি, বেঙ্গালুরুর মতো যাত্রী বহুল রুটগুলিতে ভাড়া বেড়েছে। ভাড়া বেড়েছে অন্যত্রও। যেমন, আন্দামানের বিমান ভাড়া ২০ থেকে ২৫ শতাংশ, গোয়ার ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ, কেরল ও হিমাচল প্রদেশের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ এবং কাশ্মীরের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বিমান ভাড়া বেড়েছে।

আরও পড়ুন- ওয়াকিটকির হাতেই তুলি, মা দুর্গার চক্ষুদানে ব্যস্ত ‘কনস্টেবল’ সুকুমার 

ক্লিয়ার ট্রিপ-এর পক্ষ থেকে কার্তিক প্রভু অবশ্য এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে নারাজ। তিনি জানিয়েছেন, কোনও প্রবণতার বিষয়ে বোঝার মতো সময় এখনও হয়নি।

তবে অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনের মধ্যে যদি তুলনা করা যায়, তা হলে দেখা যাবে যে, সেপ্টেম্বরে বিমান টিকিটের বুকিং প্রায় ২৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রভু বলেন, ‘গড়ে বিমান ভাড়া খুব একটা বাড়েনি। কিন্তু প্রায় ২১ শতাংশ বেড়েছে গ্রাহকের সংখ্যা। তবে এমন কিছু কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে দামি টিকিটও রয়েছে, আবার ভাড়া কমানোও হয়েছে। অক্টোবর মাসে ভারতে শুরু হচ্ছে উৎসব মরশুম। তার আগে অনেক সংস্থাই বিমান ভাড়ায় ছাড় দিতে শুরু করছে।’

গত ১০ অগাস্ট বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিমান ভাড়ার সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান। সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হয়, প্রতিদিনের চাহিদার কথা বিবেচনায় রাখার পাশাপাশি বিমানের জ্বালানি মূল্যের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে দিনই জানান হয় ৩১ অগাস্ট ২০২২ থেকে বিমান ভাড়ার উর্ধ্ব ও নিম্নসীমা নির্ধারণের সরকারি নিয়ন্ত্রণ উঠে যাবে।

রস্তোগির মতে, এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ডিসেম্বরে আসন্ন ভ্রমণ মরশুমে যাতায়াত সুলভ হয়ে যেতে পারে। তিনি মনে করছেন, অবসরকালীন ভ্রমণস্থানগুলিতে বিমান ভাড়া মাত্র ২০ থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্য দিকে, বাণিজ্যিক রুটগুলিতে বিমান জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি, তুমুল চাহিদা সত্ত্বেও ভাড়া বেড়েছে মাত্র ১৮ থেকে ৩০ শতাংশ।

ইন্ডিগোর মুখপাত্র দাবি করেছেন, গত পাঁচ-ছ’মাসে সারা ভারতে ভ্রমণার্থী সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি, ঘরোয়া বিমানে যাত্রীদের আগ্রহ আগের থেকে অনেকটা বেড়েছে। সরকারি সীমাবদ্ধতা উঠে যাওয়ায় আবার ডায়নামিক ভাড়া চালু করা যাবে, তাতে সুবিধা হবে গ্রাহকের। দেশের অন্যতম এয়ারলাইন হওয়ার সুবাদে আমরা সব সময় চেষ্টা করব গ্রাহকদের সেরা পরিষেবা দিতে।’’

পরিসংখ্যান বলছে অগাস্ট মাসে ঘরোয়া বিমান সংস্থাগুলি ১ কোটি যাত্রী বহন করেছে। জুলাই মাসে সংখ্যাটা ছিল ৯৭.০৫ লক্ষ। অর্থাৎ এক মাসে প্রায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি দেখেছিল অগাস্ট।

আসন্ন উৎসব ও শীতের মরশুমে এই অঙ্কটা আরও খানিকটা বাড়বে বলেই সকলের আশা।

Published by:Siddhartha Sarkar
First published:

Tags: Air Fare