#নয়াদিল্লি: সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে বিশ্বঅর্থনীতি গুরুতর প্রভাবিত হয়েছে। ভারতীয় শেয়ার মার্কেটে একই রকমের ট্রেন্ড দেখা গিয়েছে। ল্যাডারআপ ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট (Ladderup Wealth Management) সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাঘবেন্দ্র নাথ সম্প্রতি বলেছেন যে, যদি আগামী কয়েকটি উন্নত দেশে মন্দার দেখা যায় তবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এইবার মুদ্রাস্ফীতি এত বেশির বেড়ে গিয়েছে এবং বিশ্বের চারিদিকে এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ছে যে সুদের হার বাড়ানো ছাড়া একে নিয়ন্ত্রণে আনার কোনও উপায় নেই।
রাঘবেন্দ্র সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং উচ্চ সুদের উন্নত অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে। এই দুইয়ের কারণে যদি বেশ কিছু উন্নত দেশে মন্দা আসে তবে তাতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই।
আরও পড়ুন: টাটার এই শেয়ারটি বিনিয়োগকারীদের ২ বছরে দিয়েছে ৭০০ শতাংশ রিটার্ন, কিনেছেন না কি?
উন্নত দেশগুলিতে মন্দা আসার সম্ভবনা কতটা রয়েছে?
যখন রাঘবেন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে মুদ্রাস্ফীতির কারণে কি উন্নত দেশগুলিতে মন্দা আসতে পারে? তিনি এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বড় বড় ইউরোপীয় বেশিরভাগ উন্নত দেশগুলিতে প্রাক-মহামারীতে খুবই মাঝারি ধরণের মুদ্রাস্ফীতি ঘটে। এই সময় বৃহৎ আকারের আর্থিক সহজীকরণ সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছিল। করোনা অতিমারী বিশ্বে থাবা বসানোর পর বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি কঠোর নীতি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ? বড় ভুলগুলো শুধরে নিয়ে মুনাফা করুন সুনিশ্চিত!
বর্তমানের মূল্যবৃদ্ধির চিত্রটা ভিন্ন। এই বার মুদ্রাস্ফীতি এত বেশি বেড়ে গিয়েছে যে শুধুমাত্র সুদের হার বৃদ্ধি করে এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই মুশকিল। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান সুদের হার অধিকাংশ অর্থনীতির বিকাশকে প্রভাবিত করবে এবং এর মধ্যে কয়েকটি অর্থনীতিতে মন্দা এলে তা কোনও আশ্চর্যের বিষয় নয়।
শেয়ার মার্কেটে কী হবে?
ল্যাডারআপ ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাঘবেন্দ্র নাথ বলেছেন যে শেয়ার বাজারের ভ্যালুয়েশন কমে যাওয়ার পড়ে মার্কেটে আরও পতন দেখা দিতে পারে। আগামী দিনে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে না কমবে, কতটা বৃদ্ধি বা হ্রাস পাবে তা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। বাজারের অস্থিরতা আগামী এক বছর বা তারও তারও বেশি সময় ধরে চলতে পারে। ভারতের তেল আমদানির উপর নির্ভরতা মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম কারণ। তেলের কারণে ভারতের দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রভাবিত হওয়ার পাশাপাশি ভারতীয় মুদ্রা রুপির উপরও অনেক চাপ পড়ে। এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশের মতো ভারতকেও সুদের হার বৃদ্ধি করতে হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।