#নয়াদিল্লি: শেয়ার বাজারে (Share Market) বিনিয়োগ করার কথা ভাবছেন? তবে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখতেই হবে। নাহলে কিন্তু মুখ দেখতে হবে লোকসানের। নতুন বিনিয়োগকারীরা না জেনে শুনে বিনিয়োগ করেন, ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেইক্ষতির মুখে পড়তে হয় তাঁদের।
কীভাবে শেয়ার ব্যবসা থেকে লাভ (Earn Money) করা যায়? সেক্ষেত্রে আগে বুঝতে হবে কোম্পানির প্রোফাইল। কোম্পানির বর্তমান অবস্থা কী, সামনে কী আরও ভাল হবে না খারাপের দিকে যাবে? এজন্য একাধিক কোম্পানির শেয়ার যাচাই করে কেনা উচিত। একটিতে লোকসান হলেও, অপরটিতে লাভ করা যাবে।
যাঁরা প্রথমবার শেয়ার বাজারে (Share Market) বিনিয়োগ (Investment) করতে যাচ্ছেন তাঁদের জন্য রইল বিনিয়োগের সুলুক সন্ধান।
আরও পড়ুন - IPL 2022: আইপিএলে এবার কোচের ভূমিকায়, তার আগেই ‘পুষ্পা’ স্টাইলে হাজির স্টেইন, ভাইরাল ভিডিও
ধীরে সুস্থে বিনিয়োগ: মাসের শেষে খরচ খরচা বাদ দিয়ে যে টাকা বাঁচে, প্রথমদিকে সেটাই বিনিয়োগ করা উচিত। এতে লোকসান হলেও গায়ে লাগবে না। শেয়ার বাজারে লাভ পেতে হলে দরকার সঠিক মানসিকতা, ধৈর্য, সময় এবং প্রচেষ্টা। প্রথমেই বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে লোকসান হলে হতাশা গ্রাস করা স্বাভাবিক। শেয়ার বাজার থেকে মনও উঠে যেতে পারে। তাই শুরুর দিকে ছোট অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করাই বাঞ্ছনীয়।
নির্দিষ্ট পরিকল্পনা: শেয়ার বাজারে দু ধরনের বিনিয়োগ করা যায়। ক) ইন্ট্রাডে ট্রেডিং খ) ভ্যালু ইনভেস্টিং। ইন্ট্রাডে ট্রেডিং: এই ট্রেডিং স্কিমের অধীনে একই দিনের মধ্যে স্টক কেনা-বেচার কাজ চলে। তাই একে ডে ট্রেডিংও বলা হয়। বিনিয়োগকারীর ঝুঁকি নেওয়ার সাহস থাকলে ইন্ট্রাডে ট্রেডিংয়ের জুড়ি নেই। ভ্যালু ইনভেস্টিং: অনামী কোম্পানি কিন্তু যাদের ভবিষ্যতে ভালো, এমন সংস্থার শেয়ার কম দামে দীর্ঘমেয়াদের জন্য কিনে নেওয়াই হচ্ছে ভ্যালু ইনভেস্টিং। ওয়ারেন বাফেট, চার্লি মুঙ্গার, রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালারা এই ধরনের শেয়ার কেনায় সিদ্ধহস্ত।
বিনিয়োগে বৈচিত্র চাই: সব ডিম এক ট্রে-তে রাখলে একটি দুর্ঘটনাতেই সব ডিম নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই কখনই সব মূলধন একটি শেয়ারে বা একটি সেক্টরের শেয়ারে বিনিয়োগ করা উচিত নয়। খুব ভালো কোম্পানি দেখে বিনিয়োগ করলেও সেক্ষেত্রে কিছু ভয়ের আশঙ্কা থেকে যায়। কারণ ব্যবসায় লাভ ক্ষতি থাকেই। তাই, কোনও কারণে সেই কোম্পানির শেয়ারের মূল্যপতন হলে তখন বিনিয়োগকারীর ক্ষতি বেশি হয়। তাই একসঙ্গে অল্প অল্প করে কয়েকটি কোম্পানি থেকে শেয়ার ক্রয় করলে তাতে লোকসানের সম্ভাবনা কম থাকে।
পরিস্থিতির উপর নজরদারি: আর্থ সামাজিক অবস্থা সদা পরিবর্তনশীল। তার প্রভাব শেয়ার বাজারে পড়তে বাধ্য। তাই চারপাশের ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। কোনও বড় ঘটনা ঘটলে বাজারে তার কি প্রভাব পড়তে পারে তার বিশ্লেষন করতে পারাটাও জরুরি।
কোন কোম্পানির আর্থিক ভিত্তি কতটা শক্তিশালী তা কোম্পানির আর্থিক বিবরণী দেখলেই বোঝা যায়। বিনিয়োগকারী যে কোম্পানির শেয়ার কিনতে চান, তার বর্তমান আয়, বার্ষিক আয়, কোম্পানিতে নতুন কোনও পরিবর্তন আসছে কিনা, কোম্পানির পণ্য সরবরাহ কেমন, নেতৃত্বে কারা আছেন, কোম্পনির শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কেমন এবং সবশেষে ওই কোম্পানির পণ্যের বাজারে চাহিদা কেমন, বছর শেষে তারা কেমন লভ্যাংশ দিচ্ছে এসব বিষয় পর্যালোচনা করতে হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Investment, Share Market