#নয়াদিল্লি: ভারতে খুচরো বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ। বাজারের পরিস্থিতি দেখে এটা বলাই যায় যে সময়টা তরুণ বিনিয়োগকারীদের জন্য রোমাঞ্চকর। নিত্যনতুন কোম্পানি আইপিও আনছে। তরুণ বিনিয়োগকারীরাও ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। তবে আইপিও কেনার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। নাহলে আমও যাবে, সঙ্গে ছালাও!
গত বছর থেকেই করোনা কাটিয়ে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। নিজেদের সম্প্রসারণের জন্য এই সময়টাকেই বেছে নিয়েছে কোম্পানিগুলিও। তহবিল সংগ্রহের অভিপ্রায়ে বাজারে আইপিও আনছে তারা। তবে আইপিও-তে বিনিয়োগের আগে কী কী প্রাথমিক বিষয় মাথা রাখা জরুরি সেই সম্পর্কে বিশদে জানালেন অ্যাঞ্জেল ওয়ান লিমিটেডের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট অমরজিৎ মৌর্য।
কোম্পানির ব্যবসায়িক মডেল বুঝতে হবে: কোম্পানির ব্যবসায়িক মডেল বুঝতে হবে। তবেই আইপিও-র মূল্য সঠিক কি না আন্দাজ করা যাবে। কোনও স্পষ্ট ব্যবসায়িক মডেল না থাকলে সেই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে নিষেধ করেছেন স্বয়ং ওয়ারেন বাফেট।
আরও পড়ুন: অ্যাক্রোপলিস মলের সামনে থেকে ব্যবসায়ীকে অপহরণ! রাতেই পুলিশের রুদ্ধশ্বাস অপারেশন, তারপর...
কোম্পানির নামে প্রতারণার শিকার যেন না হতে হয়: সম্প্রতি পেটিএম এবং জোম্যাটোর মতো সংস্থাগুলির পরিণতি সম্পর্কে কম-বেশি সব বিনিয়োগকারীই ওয়াকিবহাল। আইপিও আসার খবরে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ, উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বাজারে আসার পর সেদিকে আর ঘুরেও তাকায়নি বিনিয়োগকারীরা। শেয়ার বাজারেও খুব একটা ছাপ ফেলতে পারেনি পেটিএম এবং জোম্যাটো।
বাজারে প্রবেশের সময়: এমনকী অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীদের কাছেও বাজারে প্রবেশের সময় নির্ধারণ করাটা কঠিন কাজ বলে মনে হয়। বাজারের পতন হলেই ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা হাত গুটিয়ে নেন। এটা না করে দীর্ঘমেয়াদী কৌশল অবলম্বন করতে হবে। আইপিও-র ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদী অস্থিরতা কাটতে দিয়ে বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদে ফোকাস করা উচিত।
আরও পড়ুন: 'মনে কষ্ট নিয়ে ঘরে বসে আছেন', বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ! কোন প্রসঙ্গে বললেন এমন কথা?
পোর্টফোলিওর বৈচিত্র: কখনওই সব অর্থ এক জায়গায় বিনিয়োগ করা উচিত নয়। বদলে স্টক, বন্ড, সোনার মতো বিভিন্ন সম্পদ শ্রেণীতে ভাগ করে দেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, একটি সম্পদ শ্রেণীতে ১০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করা চলবে না। এটা করার আরেকটা উপায় হল মিউচুয়াল ফান্ড, যেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে ঝুঁকি এড়ানো যায়।
আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নয়: পুঁজি বাজার কঠোর বাস্তব। এখানে ভয় এবং লোভ বাজারকে শাসন করে। বিনিয়োগকারী হিসাবে ভয়কে মাথায় চড়তে দিলে হবে না। আবেগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, স্টক মার্কেটের রিটার্ন অল্প সময়ের জন্য অস্থির। দীর্ঘ সময় ধরে রাখা হলে, বড় ক্যাপ স্টকগুলি ১০ শতাংশের বেশি রিটার্ন দেবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Investment, IPO