হোম /খবর /ব্যবসা-বাণিজ্য /
অবিশ্বাস্য! জৈব চাষে ৩০ রকমের ফসল ফলিয়েছেন এই মহিলা, অনুপ্রেরণা কৃষকদের কাছে

অবিশ্বাস্য! জৈব চাষে ৩০ রকমের ফসল ফলিয়েছেন এই মহিলা, অনুপ্রেরণা কৃষকদের কাছে

জৈব চাষে ৩০ রকমের ফসল ফলিয়েছে অনুপ্রেরণা কৃষকদের কাছে!

জৈব চাষে ৩০ রকমের ফসল ফলিয়েছে অনুপ্রেরণা কৃষকদের কাছে!

একদিকে সমাজকর্মী হিসাবে কাজ করেন, অন্য দিকে নামমাত্র বিনিয়োগে তিনি ৩০ ধরনের বীজ বুনে ৩ মাসে কুড়ি হাজার টাকা উপার্জন করেন।

  • Local18
  • Last Updated :
  • Share this:

আজকাল অর্গানিক চাষের কদর বেড়েছে। এই পদ্ধতিতে চাষ করে লাভের মুখও দেখছেন চাষিরা। অন্ধ্রপ্রদেশের আন্নামায়া জেলার কুরাবালাকোটা মণ্ডলের থেট্টু গ্রামের একজন মহিলা কৃষক তেমন ভাবেই লাভ করেছেন।

থেট্টু গ্রামের বাসিন্দা তালারি রাধিকা জৈব চাষের মাধ্যমে লাভজনক ফসল চাষ করছেন। রাধিকা, চাঁদমামা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য। একদিকে সমাজকর্মী হিসাবে কাজ করেন, অন্য দিকে নামমাত্র বিনিয়োগে তিনি ৩০ ধরনের বীজ বুনে ৩ মাসে কুড়ি হাজার টাকা উপার্জন করেন।

জানা গিয়েছে, রাধিকা ১৩ কেজি বীজ দিয়ে ৩০ ধরনের ফসল রোপণ করেছিলেন। রাধিকার জমিতে ডালের পাশাপাশি নানা রকম কন্দ, সবজি ও শাকের চাষ হয়। এর মধ্যে রয়েছে ছোলা, বাজরা, তিল, আমাদা, সর্ষে, লঙ্কা, ধনে, মেথি, বেগুন, টম্যাটো ইত্যাদি। রাধিকা চাষের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বীজ পর্যায় থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত কোনও রাসায়নিক ব্যবহার ছাড়াই সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে ফসল ফলিয়েছি। মাত্র ২৬০০ টাকা খরচ করেই এই ফসল ফলেছে।’

রাধিকা বলেন, ‘জৈব চাষ এবং পিএমডিএস নীতিতে অর্থনৈতিক সুবিধা মেলে। পাশাপাশি প্রকৃতির উপকারও হয়। এতে জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি পায়, মাটির জৈব ও কার্বনের উপাদান বৃদ্ধি পায়, ফলে মাটি উর্বর হয়।’

তিনি জানান, বিভিন্ন ধরনের শস্য রোপণের ফলে বিভিন্ন ধরনের জীব উৎপন্ন হয়েছে মাটিতে। তা থেকেই বিভিন্ন উদ্ভিদ প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেয়েছে। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে পোকা-মাকড়ের সমস্যাও কম হয়। মাটিতে কেঁচোর সংখ্যা অনেক বেড়েছে এবং মাটির জলধারণ ক্ষমতাও বেড়েছে। নতুন উৎপাদিত ফসল থেকে গবাদিপশুরা ভাল পুষ্টি পাবে বলেও আশা করেন তিনি। আশেপাশের অনেকেই এখন এই পদ্ধতিতে চাষ করতে উৎসাহী।

এই বিষয়ে অন্য কৃষকদের সাহায্য করতে উৎসাহী রাধিকাও। তিনি নিজের প্রতিবেশী বেশ কিছু কৃষকের মত বদলে সাহায্য করেছেন। তাঁরা নিজেদের বাড়ির জন্য শাক-সবজি চাষ করছেন জৈব পদ্ধতিতে। ক্ষতিকর রাসায়নিক না থাকায় এই চাষ নিয়ে সকলেই খুশি।

Published by:Rachana Majumder
First published:

Tags: Agriculture and Farming