Birbhum news: শুরুতে শুধু চাল-কুমড়ো! যোগ হল বেল, শতমূল! না খেলেই মিস! মোরব্বা টেস্টে বেস্ট!
- Published by:Piya Banerjee
- Reported by:SUBHADIP PAL
Last Updated:
Birbhum news: ১৭১৮ সালে এই রাজার হাত ধরেই বেনারস থেকে কারিগর আসে বাংলায়! মোরব্বার স্বাদ ভোলা দায়! জানুন
বীরভূম: শুরুতে ছিল শুধুই চাল কুমড়ো। একে একে বেল, শতমূল। পরে পরে আরও অনেক কিছু। কড়া চিনির রসে চোবানো মন ভোলানো সেই মোরব্বা খেয়েই অনেকে আলাদা করে চিনে নিয়েছেন সিউড়িকে। শোনা যায়, বীরভূমের রাজনগরের নবাব ছিলেন বদির উদজ্জামাল। সালটা ১৭১৮। নবাব গিয়েছেন উত্তর ভারত ভ্রমণে। বেনারস, আগ্রা, লখনৌ। সেখানে গিয়েই মোরব্বা খেয়ে অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন নবাব। ফিরে যখন আসেন বেনারস থেকে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন মোরব্বা তৈরির কারিগর। সিউড়িতে মোরব্বা তৈরির সেই শুরু।
যেমন, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা, গুপ্তিপাড়ার কাঁচাগোল্লা বা কৃষ্ণনগরের সরভাজা, তেমনই কখন যেন সিউড়ির সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে মোরব্বার নাম। স্বাধীনতার বহু আগে নবাবের আমলে জনপ্রিয় হওয়া এই মোরব্বার ব্যবসা নতুন করে শুরু করেছিলেন সজনীকান্ত দে। মালিপাড়ায় জোনাকি ক্লাবের কাছে ছিল সেই কুঞ্জবিহারী মিষ্টান্ন ভান্ডার। তাঁর ছেলে দিগম্বরপ্রসাদ দে ১৯৫০ সালের পরের দিকে টিনবাজারে তৈরি করেন মোরব্বা মিষ্টান্ন মন্দির। ১৯৭৪ সালে তাঁদেরই বংশধর নন্দদুলাল দে সিউড়ি বাস স্ট্যান্ডে দোকান করে নাম রাখেন মোরব্বা।
advertisement
advertisement
রাজনগরের নবাবের প্রিয় মিষ্টির ঐতিহ্য বহন করেই চলছে এই দোকান। দাবি নন্দদুলালবাবুর ছেলে গৌরাঙ্গর। বাপ ঠাকুদার তৈরি করা মোরব্বার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে অতিমাত্রায় আগ্রহী তিনি। তাই উচ্চশিক্ষিত হয়েও চাকরির মায়া ছেড়ে মন দিয়েছেন ব্যবসাতেই। এক সময় শুধুই চাল কুমড়ো। তারপর বেল আর শতমূল দিয়ে তৈরি হত মোরব্বা। সময়ের সঙ্গে সেই তালিকায় যোগ হয়েছে নাসপাতি, আম, গাজর,পটল, বরবটি এমনকী লাল লঙ্কা, আমলকি, হরতুকিও। চিনির কড়া রসে ডুবিয়ে তৈরি বলেই বেশ কিছু দিন রেখে খাওয়া যায়।
advertisement
Subhadip Pal
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
May 02, 2023 9:00 PM IST