Inspiration: আশৈশব অসাড় শরীরের নিম্নাংশ, কারওর কাছে হাত না পেতে পাথর কুঁদে ফুটিয়ে তোলা শিল্পে বাজিমাত বাবলুর
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- local18
- Reported by:Nilanjan Banerjee
Last Updated:
Inspiration: ৮০ শতাংশ বিশেষ ভাবে সক্ষম তিনি। দুই হাত ব্যবহার করেই পাথরের যেকোনও মূর্তি, মডেল বানিয়ে দিতে পারেন শিল্পী বাবলু।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: শুশুনিয়ার শিল্পী তারকনাথ রায় ওরফে বাবলু। বিশেষভাবে সক্ষম এই মানুষটার মনের জোর গভীর। হার মেনে নিতে পারতেন তিনি। তবে ঘটেছে তার বিপরীত। দিনের পর দিন বাবলু পাথর কেটে শিল্পচর্চা করেন। শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে রয়েছে তাঁর ছোট্ট দোকান। সারাদিন এই দোকানের কাজেই ব্যস্ত থাকেন তিনি। তার শিল্পকর্ম এবং কারুকার্য দেখে অবাক হতেই হবে।
৮০ শতাংশ বিশেষ ভাবে সক্ষম তিনি। জানান, তাঁর বাবা বলেছিলেন কারওর কাছে হাত না পাততে। বাবার সেই উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন তিনি। উচ্চমাধ্যমিকের পর টিউশনি পড়িয়ে আসছিল না আর্থিক স্বচ্ছলতা, সেই কারণেই ফিরে আসেন পাথরশিল্পে।
শিল্পী তরকনাথ রায় জানিয়েছেন, চার-পাঁচ বছর বয়সে আচমকা জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। তার পর থেকেই শরীরের নীচের অংশ কাজ করে না। বর্তমানে নিজের তিন চাকার অটোমেটিক সাইকেলেই যাতায়াত করেন বাবলু। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর চাকরি না পেয়ে, বাবার শেখানো পাথরশিল্প বেছে নিয়েছিলেন বাবলু। এখনও সেই কাজ করছেন তিনি। শুশুনিয়া পাহাড়ে বেড়াতে গেলে পাহাড়ে ওঠার রাস্তার পাশেই দেখতে পাবেন বাবলুর দোকান। পাহাড়ের পাথর কাটা আইনি ভাবে নিষিদ্ধ বর্তমানে। সেই কারণে ব্যবসায় এসেছে মন্দা।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : সস্তায় বিষমুক্ত লিভার! বদহজমের সমস্যা, পেটের রোগ গোড়া থেকে নির্মূল করে এই বুনো লতানে ফুলের গাছ
বাবলু জানান, “শিল্পের প্রতি ভালবাসা থেকেই বেছে নিয়েছিলাম পাথরশিল্প। বর্তমানে পাহাড়ের পাথর ব্যবহার করতে না দেওয়ায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বাইরে থেকে পাথর কিনে আনার শারীরিক কিংবা আর্থিক ক্ষমতা নেই আমার।” বিশেষভাবে সক্ষম হওয়া সত্বেও সংসারের হাল ধরেছেন শুশুনিয়া গ্রামের পাথর শিল্পী তারকনাথ রায় ওরফে বাবলু। অজুহাত নয়, নিজের মনের জোর দিয়ে আপস না করে বছরের পর বছর পরিশ্রম করে চলেছেন এই শিল্পী।
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
July 14, 2025 9:27 PM IST