Bankura News: ব্রিটিশের চোখে ধুলো দিয়ে মাটির গুহায় লুকোতেন ক্ষুদিরাম! জঙ্গলমহলে গেলে আজও চোখে পড়বে
- Published by:kaustav bhowmick
- news18 bangla
- Reported by:NILANJAN BANERJEE
Last Updated:
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সশস্ত্র বিপ্লবের পথ বেছে নেওয়া ক্ষুদিরাম বসু, বারিন ঘোষদের আত্মগোপনের ঘাঁটি ছিল জঙ্গলমহল
বাঁকুড়া: একটা সময় জঙ্গলমহল মানেই ছিল মুখ আর মুখোশের খেলা। কিন্তু এই প্রান্তিক এলাকার এক ইতিহাস আজও অনেকেরই অজানা। ব্রিটিশ আমলে জঙ্গলমহল ছিল সশস্ত্র বিপ্লবীদের আখড়া। এখানকার ঘন জঙ্গলে ঢাকা এলাকার সুবিধে নিয়ে বিপ্লবীরা অবাধে লুকিয়ে থাকতে পারতেন। বাঁকুড়া শহর থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে শাল-সেগুনের ছায়া গভীর অরণ্য পেরিয়ে গেলেই ছেন্দাপাথর। তার এককোনায় একাকী পড়ে আছে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর লুকিয়ে থাকার জায়গা।
অম্বিকানগরের রাজা রায়চরন ধবলদেবের সহযোগিতায় ক্ষুদিরাম, বারিন ঘোষ, নরেন গোঁসাইরা এই দুর্গম অরণ্যে ঘেরা ছেন্দাপাথরকে বেছে নিয়েছিলেন বোমা বানানো, অস্ত্র প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কার্যকলাপের জন্য। এখান থেকে একটু এগিয়ে গেলেই ঝাড়খণ্ড সীমানা। ফলে ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণেই এই এলাকা পরাধীন ভারতের সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মগোপনের ক্ষেত্রে আদর্শ জায়গা হয়ে উঠেছিল। এই স্থানে একটি মাটির ঘর ছিল। যার মধ্যে ছিল লুকানো গুহা। কথিত আছে নাকি এই গুহা অনেক দূর অব্দি বিস্তৃত। এই গুহাকে কাজে লাগিয়ে ব্রিটিশ পুলিশের নজর এড়িয়ে থাকতেন বিপ্লবীরা।
advertisement
advertisement
এখান থেকেই বিপ্লবীরা অভিনব পদ্ধতিতে মাটির বোমা অর্থাৎ উপরে আবরন মাটির, ভেতরে বারুদ ভরে সারা রাজ্যে সংগঠনের অন্য সদস্যদের কাছে সরবরাহ করতেন। স্থানীয় ছেন্দাপাথর হাইস্কুলের শিক্ষক মানসবাবু জানান, সেই সময় স্থানীয়রা অনেকে বিপ্লবীদের এই ধরনের কাজকর্মে সাহায্য করতেন। অথচ তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় কোথাও লেখা নেই।
বর্তমানে ছেন্দাপাথরের মাটির গুহা সরকারি উদ্যোগে ইঁটে বাঁধানো কুয়োর রূপ পেয়েছে। মাটির দেওয়াল এখন পাকা ইট দিয়ে ঘেরা। ক্ষুদিরাম, বারীন ঘোষরা না থাকলেও তাঁদের কর্মস্থান আজও সমানভাবে অনুপ্রেরণা হয়ে থেকে গিয়েছে। তবে জায়গাটি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য আরও উদ্যোগের প্রয়োজন।
advertisement
নীলাঞ্জন ব্যানার্জি
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
August 14, 2023 8:35 PM IST