Bankura News: অর্ধশতক পুরনো সাইনবোর্ডটা কিছুদিন পর মুছে যাবে বাঁকুড়া শহর থেকে
- Published by:Ananya Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
ধুলো পড়া তবলার খোল আর চামড়াগুলো বলে দিচ্ছে বর্তমানে এর পরিস্থিতি। বিষ্ণুপুরের কাঁকিলা থেকে এসেছিলেন বিশ্বনাথ রুইদাসের দাদু। দীর্ঘ ১০০ বছরের পারিবারিক ব্যাবসা প্রসার পায় বাঁকুড়া শহরেও। কিন্তু করোনা এসে এই ব্যবসার সব বোল নষ্ট করে দিয়েছে
বাঁকুড়া: গত অর্ধশতক জুড়ে বাঁকুড়া শহরের পরিচিত দৃশ্য হয়ে থেকেছে এটি। বড় কালীতলা এলাকা দিয়ে যাতায়াত করার সময় 'তবলা সারাই' লেখা সাইনবোর্ডটি চোখে পড়েনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর। দাদু এবং বাবার থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত তবলা তৈরি ও সারাইয়ের এই দোকানটি বর্তমানে চালান দুই ভাই বিশ্বনাথ রুইদাস ও ভোলানাথ রুইদাস। তবলা বাঁধা তো বটেই, তবলা সরানোও একটি সময় সাপেক্ষ কঠিন কাজ। উদয়স্থ খাটতে হয়। কিন্তু করোনা মহামারীর পর থেকেই তবলার এই ব্যবসা যেন থমকে গিয়েছে। বর্তমান প্রজন্ম বোধহয় আর তবলায় তেরেকেটে বোল তোলে না! তাই আর কিছুদিন। বিশ্বনাথ ও ভোলানাথ ঠিক করেছেন তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মকে এই ব্যবসায় আনবেন না।
দুটি ছোট ছোট ঘর। দেখে মনে হবে কোনক্রমে ব্যালান্স করে দাঁড়িয়ে আছে। ধুলো পড়া তবলার খোল আর চামড়াগুলো বলে দিচ্ছে বর্তমানে এর পরিস্থিতি। বিষ্ণুপুরের কাঁকিলা থেকে এসেছিলেন বিশ্বনাথ রুইদাসের দাদু। দীর্ঘ ১০০ বছরের পারিবারিক ব্যাবসা প্রসার পায় বাঁকুড়া শহরেও। কিন্তু করোনা এসে এই ব্যবসার সব বোল নষ্ট করে দিয়েছে। তার উপর বিষফোঁড়ার মত আছে স্মার্টফোন। বর্তমান প্রজন্মের একটা অংশ যখন মিউজিক শেখার বদলে স্মার্টফোনে ডুবে আছে, তখন বাকিরা স্মার্টফোনেই সফটওয়্যার ব্যবহার করে তবলার বোল খুঁজে নিচ্ছে। ফলে নতুন তবলার কোনও চাহিদা নেই, কেউ সারাতেও আসে না। ফলে দোকান খুলে সারাদিন বসে থাকলে রোজগার বলতে প্রায় কিছুই হয় না।
advertisement
আরও পড়ুন: মাটির কথায় সোলার পাম্প পেয়ে খুশি কৃষকরা
advertisement
এই পরিস্থিতিতে দুই ভাই ঠিক করেছেন তাঁদের সঙ্গে সঙ্গেই শতাব্দী প্রাচীন পারিবারিক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। পরবর্তী প্রজন্মের কাউকেই তাঁরা তবলা তৈরি ব্যবসায় নিয়ে এসে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে ফেলতে চান না।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জি
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
March 02, 2023 5:54 PM IST