আপনি যে ওষুধ খাচ্ছেন, তা আসল না নকল ? নিজেই জেনে নিন সহজ পদ্ধতিতে
- Published by:Ananya Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
জাল ওষুধ রুখতে নয়া দাওয়াই, প্যাকেটের গায়ে থাকবে কিউআর কোড, রিপোর্টও করা যাবে!
advertisement
1/7

জাল ওষুধের রমরমা রুখতে নয়া ‘দাওয়াই’! ‘ট্র্যাক অ্যান্ড ট্রেস’ প্রক্রিয়া চালু করতে চলেছে কেন্দ্র। জাল ও নিম্নমানের ওষুধের ব্যবহার রোধ করতে এবং গুণমান নিশ্চিত করতেই এই কৌশল নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
advertisement
2/7
‘ট্র্যাক অ্যান্ড ট্রেস’ কী? ওষুধের প্যাকেটের গায়ে বারকোড বা কিউআর কোড থাকবে। গ্রাহক কিউআর কোড স্ক্যান করে দেখে নেবেন তাঁর কেনা ওষুধ আসল নাকি জাল! প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ৩০০টি ওষুধের প্যাকেটে কিউআর কোড লাগানো হচ্ছে। এর মধ্যে থাকছে ব্যাপকভাবে বিক্রি হওয়া অ্যান্টিবায়োটিক, কার্ডিয়াক, ব্যথা-নিরাময় ওষুধ এবং অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ।
advertisement
3/7
যদিও এই ভাবনা নতুন। জাল ওষুধ রুখতে এক দশক আগেই এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু এই নিয়ে দেশীয় ফার্মা শিল্পে যথাযথ প্রস্তুতি ছিল না। এমনকী রফতানির জন্যও ট্র্যাক অ্যান্ড ট্রেস মেকানিজম আগামী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
4/7
কয়েক বছর ধরে, নকল এবং নিম্নমানের ওষুধে বাজার ছেয়ে গেছে। রাষ্ট্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করতে অভিযান চালাছে। সম্প্রতি সামনে এসেছে জাল থাইরয়েড ওষুধ থাইরোনর্ম। তেলঙ্গানার বাজারে ব্যাপক বিক্রি হয় এই ওষুধ। কিন্তু তেলঙ্গানার ওষুধ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, এই ওষুধটি নিম্নমানের এবং নকল। কোনও ফার্মা কোম্পানি এই ওষুধ বাজারজাত করেনি। তাহলে এল কোথা থেকে?
advertisement
5/7
এরপরই জুন মাসে সরকার ফার্মা সংস্থাগুলোকে ওষুধের প্যাকেজে বারকোড বা কিউআর কোড লাগাতে বলে। এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন, যা পাঠযোগ্য ডেটা বা তথ্য সংরক্ষণ করবে। এই সফটওয়্যার চালু হয়ে গেলে মন্ত্রকের পোর্টালে অনন্য আইডি কোডের মাধ্যমে ওষুধ আসল না কি জাল তা দেখে নিতে পারবেন গ্রাহকরা। মোবাইল ফোন বা টেক্সট মেসেজের মাধ্যমেও ট্র্যাক করতে পারবেন।
advertisement
6/7
গোটা প্রক্রিয়াটি মসৃণভাবে সম্পন্ন করতে বারকোড প্রদানকারী হিসেবে একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেস এজেন্সি স্থাপন করা হবে। সূত্র মারফত খবর, এটি বাস্তবায়নে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে। ফার্মা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে খরচ ৩ থেকে ৪ শতাংশ বাড়বে।
advertisement
7/7
যার প্রভাব ওষুধের দামে পড়তে পারে। তবে কিছু কোম্পানি স্বেচ্ছায় কিউআর কোড রাখতে শুরু করেছে। প্রস্তাবিত সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রস্তুতকারক এবং গ্রাহক হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে জাল ওষুধের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করতে পারবেন বলেও জানা গিয়েছে।