সারাদিন বনবন করে ঘুরেই চলেছে সিলিং ফ্যান? কোন কোন বিষয়ে সতর্ক না থাকলে হতে পারে বিস্ফোরণ

গ্রীষ্মকাল এসে গিয়েছে, সময়ের কিছু আগে থেকেই প্রবল উত্তাপে পুড়ছে গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে এসি, ফ্যান ও কুলারের ব্যবহার। এখনও ভারতের বেশিরভাগ বাড়িতে এসি নেই।

বৈদ্যুতীন পাখাই একমাত্র ভরসা। যাঁদের বাড়িতে এসি বা কুলার রয়েছে, তাঁরাও পাখা ব্যবহার করেন। ফলে সেই পাখাকে ঘুরতে হয় সারা দিনরাত। কিন্তু ঠিক কত ঘণ্টা সিলিং ফ্যান চালানো যায়।

একটানা কত ঘণ্টা পাখা চালানো যায়, এই প্রশ্নটা কারও কারও মনে আসে। অনেকেই ভয় পান, অতিরিক্ত পাখা চললে, পাখায় আগুন লেগে যেতে পারে বলে। রাতভর পাখা চলার কারণে অনেকেই ভয় পান, তার পুড়ে আগুন লেগে যেতে পারে।

কারণ বেশির ভাগ সময়ই খানিকক্ষণ পাখা চললে তা বেশ গরম হয়ে যায়। এমনটা ঘটে কারণ, পাখার ভিতরে থাকা মোটরটি বিদ্যুৎশক্তির সাহায্যে পাখাটিকে ক্রমাগত ঘোরাতে সাহায্য করে। ফলে তাপ উৎপন্ন হয়।

যাইহোক, সারারাত পাখা চালানোর জন্য খুব বেশি চিন্তা করার দরকার নেই। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি সিলিং ফ্যান কোনও সমস্যা ছাড়াই গড়ে ৮ ঘন্টা চালিয়ে রাখা যেতে পারে। তবে এর পরেও যদি ফ্যান চলতে থাকে তাহলে অতিরিক্ত গরম হওয়ার সমস্যা হতে পারে এবং কোনও রকম বিপদও ঘটে যেতে পারে।

যদিও সিলিং ফ্যান এমন ভাবে তৈরি করা হয় যাতে তারা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চলতে পারে। তবে যদি আশঙ্কা থাকে কোনও রকম দুর্ঘটনার, তাহলে ভাল ব্র্যান্ডের পাখা কেনাই উচিত। তাতে একটা নির্ভরতা তৈরি হতে পারে। ভাল ব্র্যান্ডের কমদামি পাখাও দীর্ঘদিন পরিষেবা দিতে পারে কোনও সমস্যা ছাড়াই।

তবে সিলিং ফ্যানের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে ব্যবহারকারীদের কিছু বিষয়ও মাথায় রাখা উচিত। ব্লেড-সহ অন্য অংশ মাঝে মধ্যেই পরিষ্কার করা দরকার। পাখাটি এমন ভাবে লাগাতে হবে যাতে এর সর্বত্র একটা ভারসাম্য বজায় থাকে। কখনও কোনও অদ্ভুত শব্দ হলে মিস্ত্রীকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই ভাল।

একইভাবে খেয়াল রাখতে হবে পাখার যেন অতিরিক্ত ব্যবহার না হয়। তাতে পাখা অনেকদিন পর্যন্ত টিকতে পারবে। আসলে একটি পাখা সারাদিন রাত দিনের পর দিন চলতে থাকলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে অপ্রয়োজনে পাখা না চালানোই ভাল। তাতে পাখাও ভাল থাকবে, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও হবে।