TRENDING:

বিশ্বকাপের ইতিহাসে ম্যাচ বলের বিবর্তন যেন রোমাঞ্চকর এক দলিল, দেখুন ছবিতে

Last Updated:
FIFA world cup match balls evolution from Telstar to Al Rihla has been stunning story of success. বিশ্বকাপে ম্যাচ বলের বিবর্তন যেন রোমাঞ্চকর এক দলিল, দেখলেই চমক
advertisement
1/19
বিশ্বকাপে ম্যাচ বলের বিবর্তন যেন রোমাঞ্চকর এক দলিল, দেখুন ছবিতে
১৯৩০ সালের ৩০ জুলাই। উরুগুয়ের এস্তাদিও সেন্তেনারিওতে ৯৩ হাজার দর্শককে সাক্ষী রেখে মাঠে গড়ায় প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। আর্জেন্টিনা ও স্বাগতিক উরুগুয়ে উভয় দলই বিপক্ষ দলের বল দিয়ে খেলতে নারাজ। শেষমেশ ফিফা কমিটির হস্তক্ষেপে প্রথমার্ধে ব্যবহার হয় আর্জেন্টিনার সরবরাহকৃত বল, দ্বিতীয়ার্ধে উরুগুয়ের। অফিসিয়াল ম্যাচ বল চালু করতে তাদের সময় লেগেছিল প্রায় ৪০ বছর। তবে প্রথম বিশ্বকাপে বলটিকে টি মডেল হিসেবেই বর্ণনা করা হয়েছে
advertisement
2/19
ট্যাঙ্গো এসপানা, ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপ স্পেনে অনুষ্ঠিত হওয়াতেই মূলত এই নাম। সে বছর বল নিয়ে আর নতুন কোনো গবেষণা করেনি অ্যাডিডাস। শুধু বলে যেন জল না ঢুকতে পারে এজন্য এর স্তরগুলো একত্রে জুড়ে দিয়ে সেলাই করে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে বলের উপরে আর চামড়ার আস্তরণের প্রয়োজন পড়েনি
advertisement
3/19
অ্যাজটেকা, ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে ব্যবহৃত বলটির নাম ছিল ‘দ্য অ্যাজটেকা’। এই বল তেমন জনপ্রিয়তা না পেলেও কয়েকটি কারণে বিশ্বকাপ ফুটবলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ১৯৮৬ সাল থেকে আয়োজক দেশের সাথে মিলিয়ে বলের নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়। দ্য অ্যাজটেকা’ বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম সিনথেটিক বল
advertisement
4/19
ইতরাস্কো ইউনিকো, ১৯৯০ এই বিশ্বকাপের বলেও আয়োজকদের ঐতিহ্যবাহী প্রতীকের সাথে মিল রেখে প্রাচীন ইতালির ইতরাস্কান সভ্যতাকে সম্মান জানিয়ে বিশ্বকাপ বলের নাম রাখা হয় ইতরাস্কো ইউনিকো। বলটির ডিজাইন দেখতে ট্যাঙ্গো বলটির মতো হলেও ত্রিভুজাকৃতির কালো প্যাটার্নগুলো ছিল ইতরাস্কান সিংহের মাথা দিয়ে চমৎকারভাবে সজ্জিত
advertisement
5/19
কুয়েস্ট্রা, ১৯৯৪ এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ। অ্যাডিডাস বলের মূল থিম হিসেবে বাছাই করেছিল মহাকাশ ভ্রমণকে। বলের বাইরের আবরণের মধ্যে ব্যবহার করা হয় পলিস্টারের ফোম, যাতে এটি কিছুটা নরম এবং নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হয়। দারুণ এই পরিবর্তনের কারণে কুয়েস্ট্রা পারফরম্যান্সে ছাড়িয়ে যায় এর পূর্বসূরিদের। এক কথায় এই কুয়েস্ট্রা বলের হাত ধরেই বিশ্বকাপের বলের বিপ্লব শুরু হয়
advertisement
6/19
ট্রিকালার, ১৯৯৮ সালের আগ পর্যন্ত বলের রং ছিলো সাদা-কালো। এই বিশ্বকাপ থেকেই সেই রীতি ভেঙে বেরিয়ে আসে ফিফা ও অ্যাডিডাস। সেই বছর ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের বলটিতে প্রথমবারের মতো দেখা যায় তিন রঙের সমাহার। এর ডিজাইন দেখতে ট্যাঙ্গোর মতো হলেও এর ত্রিভুজাকৃতির প্যাটার্নগুলোতে ব্যবহার করা হয় লাল, নীল ও সাদা রঙের ফ্লেয়ার। যা ফ্রান্সের পতাকার প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়
advertisement
7/19
ফেভারনোভা, ২০০২ সালে কোরিয়া-জাপানের মাটিতে বিশ্বকাপ হয় সম্পূর্ণ নতুন এক বল দিয়ে। অ্যাডিডাসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ডেভিড বেকহাম বলটি বেশ পছন্দ করে বলেছিলেন, ফুটবলের ইতিহাসের সবচেয়ে নিখুঁত বল ছিল ফেভারনোভা। আবার জিয়ানলুইগি বুফন দ্বিমত পোষণ করে বলেছিলেন, ‘এটি কোনো সুস্থ বল নয়, এই বলতো পাগলের মতো লাফায়!’
advertisement
8/19
টিমগাইস্ট, ২০০৬ ১৯৭৪-এর পর ২০০৬ সালে আবারও জার্মানিতে আয়োজন হয় বিশ্বকাপ ফুটবল। আয়োজক জার্মানির ব্যক্তিগত নৈপূণ্যের চেয়ে দলগত সামর্থ্যকে গুরুত্ব দেবার ঐতিহ্য বোঝাতেই সে বছরের বলের নাম দেওয়া হয় ‘টিমগাইস্ট’। যার অর্থ- দলীয় চেতনা
advertisement
9/19
ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত ১৯৬৬ বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হয়েছিল স্লাজেংগার চ্যালেঞ্জ নামের ফুটবল। মেশিনে তৈরি এই বল আগের তুলনায় ছিল অনেক হালকা। কালো, কমলা এবং হলুদ রঙের বল ব্যবহার করা হয়েছিল সেবার
advertisement
10/19
জাবুলানি, ২০১০ ২০১০ সালের বিশ্বকাপের আসরে বলে অ্যাডিডাস নিয়ে আসে নাটকীয় এক পরিবর্তন। বলকে আকর্ষণীয় রূপ দিতে বলের প্যানেল সংখ্যা ১৪ থেকে ৮-এ নামিয়ে আনে। অন্যান্য বল থেকে এই বল হয়ে উঠলো আরও মসৃণভাবে গোলাকার
advertisement
11/19
ব্রাজুকা, ২০১৪। ব্রাজিল বিশ্বকাপের বলের নাম দেওয়া হয় ব্রাজুকা। ব্রাজুকা ব্রাজিলিয়ান জীবনযাত্রার জাতীয় গর্ব। এছাড়া বলটিতে ব্রাজিলিয়ান উইশ ব্যান্ডের অনুকরণে এর প্যানেলগুলোকে বহু রঙের ফিতার মতো রাঙানো হয়। সে বছর বলের প্যানেল সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা হয়। ব্রাজুকায় ছিল মাত্র ছয়টি প্যানেল
advertisement
12/19
টেলস্টার ১৮ ২০১৮ সালে আবারও ফিরে আসে ১৯৭০ বিশ্বকাপের টেলস্টার। বলটির ডিজাইনও করা হয়েছিল সত্তরের সেই বলের মতো করেই। ১৯৯৪ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের মাঠে গড়াল সাদা কালো ফুটবল। এর উপরে শুধু অ্যাডিডাসের লোগোতে ব্যবহার করা হয়েছিল সোনালি রঙ। সাদা পৃষ্ঠের কালো মোজাইকের মতো দেখতে প্যাটার্নগুলো বলটিকে দিয়েছিল ক্লাসিক এক রূপ
advertisement
13/19
১৯৭০ সালে প্রথমবারের মতো ফিফা অফিসিয়াল ম্যাচ বল সরবরাহ করতে শুরু করে। ফিফা মেক্সিকো বিশ্বকাপের ফুটবলের ডিজাইনের দায়িত্ব দেয় অ্যাডিডাসের কাঁধে। সেই বছরই প্রথমবারের মতো টেলিভিশনে বিশ্বকাপের রঙিন সম্প্রচার হয়। এই ফুটবলের নাম দেওয়া হয় টেলস্টার
advertisement
14/19
১৯৭৪ সালেও প্রথমে একই বল ব্যবহারের দাবি ওঠে। তবে ফিফা এতে সামান্য পরিবর্তন করে। বলটির নামকরণ করা হয় টেলস্টার ডুরলাস্ট। জার্মানির ভেজা আবহাওয়া থেকে রক্ষার জন্যে সেই বলে চামড়ার আবরণ দেওয়া হয়। ডুরলাস্টের মোটা চামড়ার আবরণের কারণে চকচকে হয়ে ওঠে বলটি
advertisement
15/19
১৯৭৮ ফিফা বিশ্বকাপে ব্যবহৃত সবচেয়ে জনপ্রিয় বলগুলোর একটি ট্যাঙ্গো। এই বল নিয়ে খোদ অ্যাডিডাস বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছিল। তাই ব্যাকআপ হিসেবে আগের বিশ্বকাপের টেলস্টারও বানিয়ে রাখে। সাদা বলের উপরে ত্রিভুজাকৃতির কালো প্যানেলের কারণে বলটি ঘাসের উপর বেশ ভাল গড়াত, তাই প্রথম কয়েক ম্যাচের মধ্যে ফুটবলারদের কাছে বেশ প্রিয় হয়ে ওঠে ট্যাঙ্গো
advertisement
16/19
১৯৫০ সালে ব্রাজিলের মাটিতে ব্যবহৃত বলটির নাম ছিল সুপার বল। এই প্রথম বলে বন্ধ হলো সেলাই ব্যবহার। হাতে তৈরি প্যানেল জুড়ে জুড়ে প্রস্তুত হয়েছিল এই বল
advertisement
17/19
১৯৫৪ ফুটবল বিশ্বকাপের ব্যবহার করা হয়েছিল সুইস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন বল। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে যাতে বল চোখে ভাল দেখা যায়, সেটা মাথায় রেখেই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছিল উজ্জ্বল হলুদ রঙ। বলের প্যানেলের সংখ্যা ছিল ১৮ টি
advertisement
18/19
১৯৬২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে ব্যবহার করা বলের নাম ছিল ক্র্যাক। ১৮ টি পলিগোনাল প্যানেল এবং ল্যাটেক্স তৈরি ভালভ ছিল এই বলে। ফলে হাওয়া ধরে রাখার ক্ষমতা ছিল বেশি হয়
advertisement
19/19
১৯৩৪ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলে বলটির নাম ছিল ফেডারেল ১০২। ১৩ টি প্যানেল কেটে এবং হাত দিয়ে সেলাই করে তৈরি হয়েছিল এই বল। চামড়ার বদলে ব্যবহার হয়েছিল কটন যাতে হেড করার ক্ষেত্রে ফুটবলারদের চাপ পড়ে কম
বাংলা খবর/ছবি/খেলা/
বিশ্বকাপের ইতিহাসে ম্যাচ বলের বিবর্তন যেন রোমাঞ্চকর এক দলিল, দেখুন ছবিতে
লেটেস্ট খেলার খবর (Sports News in Bengali), ক্রিকেটের খবর (Cricket News in Bangla), আইপিএলের খবর (IPL News)পাবেন নিউজ 18 বাংলা-তে ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভি-তে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ সব খবরের আপডেট পেতে ! News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল