কয়েক বছর আগেই গ্রামে গ্রামে দেখা মিলত শকুনের, হঠাৎ হারিয়ে গেল কেন
- Reported by:JULFIKAR MOLLA
- hyperlocal
- Published by:Sudip Paul
Last Updated:
What is the reason behind vultures are disappeared in villages: শুধু ওষুধ নয়, পরিবেশের পরিবর্তনও শকুন হারিয়ে যাওয়ার জন্য অনেকটাই দায়ী। গ্রামাঞ্চলে বড় গাছ কেটে ফেলা, বনাঞ্চল ধ্বংস এবং খোলা মাঠ কমে যাওয়ায় শকুনের নিরাপদ আশ্রয়স্থল নষ্ট হচ্ছে।
advertisement
1/6

কয়েক বছর আগেও বাংলার গ্রামাঞ্চলে শকুন ছিল একেবারেই পরিচিত পাখি। গ্রামের প্রান্তে বড় গাছের ডালে কিংবা মাঠের ধারে মৃত পশুর দেহ ঘিরে শকুনের উপস্থিতি চোখে পড়ত প্রায়শই। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই দৃশ্য আজ প্রায় স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে। গ্রামবাংলার আকাশ থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির এই গুরুত্বপূর্ণ পাখি।
advertisement
2/6
পরিবাশবীদ রঞ্জিত চক্রবর্তীর মতে, শকুন বিলুপ্তির অন্যতম প্রধান কারণ পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত ডাইক্লোফেনাক নামক ব্যথানাশক ওষুধ। এই ওষুধ গবাদি পশুর শরীরে প্রয়োগের পর তা মৃতদেহে থেকে যায়। সেই মৃত পশুর মাংস খাওয়ার ফলে শকুনের কিডনি বিকল হয়ে দ্রুত মৃত্যু ঘটে। নব্বইয়ের দশকের পর থেকেই এই ওষুধ শকুনের অস্তিত্বের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
advertisement
3/6
শুধু ওষুধ নয়, পরিবেশের পরিবর্তনও শকুন হারিয়ে যাওয়ার জন্য অনেকটাই দায়ী। গ্রামাঞ্চলে বড় গাছ কেটে ফেলা, বনাঞ্চল ধ্বংস এবং খোলা মাঠ কমে যাওয়ায় শকুনের নিরাপদ আশ্রয়স্থল নষ্ট হচ্ছে। ফলে তারা বাসা বাঁধা ও বংশবিস্তার করতে পারছে না, যা তাদের সংখ্যা দ্রুত কমিয়ে দিচ্ছে।
advertisement
4/6
খাদ্য সংকটও শকুনের সংখ্যা হ্রাসের আরেকটি বড় কারণ। আধুনিক ব্যবস্থাপনায় মৃত পশু দ্রুত মাটি চাপা দেওয়া বা অন্যভাবে সরিয়ে ফেলার ফলে শকুনের প্রাকৃতিক খাদ্য সহজে মিলছে না। এর ফলে অনেক শকুন না খেতে পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে কিংবা এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
advertisement
5/6
শকুন প্রকৃতির এক নীরব পরিচ্ছন্নতাকর্মী। মৃত পশুর দেহ দ্রুত পরিষ্কার করে তারা পরিবেশকে রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করে। শকুন কমে যাওয়ায় অনেক এলাকায় মৃত পশুর দেহ দীর্ঘদিন পড়ে থাকে, যার ফলে বাড়ছে সংক্রমণ ও বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি। এতে প্রভাব পড়ছে মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপরও।
advertisement
6/6
বর্তমানে শকুন সংরক্ষণে সরকারি ও বেসরকারি স্তরে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা এখনও যথেষ্ট নয়। নিরাপদ পশু ওষুধ ব্যবহারে সচেতনতা, শকুন সংরক্ষিত অঞ্চল গড়ে তোলা এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছাড়া এই পাখিকে ফিরিয়ে আনা কঠিন। গ্রামবাংলার প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় শকুন রক্ষার উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।