Snake Inside The Bike: প্রাণঘাতী বিষধর সাপটা আর লুকোনোর জায়গা পেল না, সড়াৎ করে গিয়ে ঢুকল বাইকের ‘ওই’ জায়গাটায়, তারপর আতঙ্কের শিহরণ

পশ্চিম মেদিনীপুর: চন্দ্রবোড়া সাপের গতি খুব তাড়াতাড়ি। এই সাপটি তার আক্রমণের ক্ষিপ্রতার জন্য পরিচিত। যখন এটি বিরক্ত হয় বা আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়, তখন এটি খুব দ্রুতগতিতে ছোবল মারে। চন্দ্রবোড়া সাপের এই দ্রুতগতি এবং বিষের তীব্রতার কারণে এটি "কিলিংমেশিন" হিসেবে পরিচিত।

চন্দ্রবোড়া সাপের গতি প্রকৃতি সত্যিই অদ্ভুত। রাতে দাসপুর থানার পাশেই প্রাথমিক শিক্ষক অরিন্দম সামন্তের বাড়িতে দেখা যায় এক চন্দ্রবোড়া। চোখের পলকে সেই সাপ উধাও হয়ে যায়। কোথায় গেল সাপটা,চারিদিকে প্রাচীর। বাইরে বেরোতে পারবে না। অরিন্দম বাবুর নজরে আসে বাইকের মধ্যে সেই সাপটি। Photo Courtesy- Representative (Meta AI)

কী ভয়ঙ্কর ব্যপার দেখুন মানুষের নজর এড়াতে সাপটি বাইকের মধ্যে ঢুকে গেল। সাপটিকে বাইক থেকে বার করতে শত চেষ্টা চলে। বাইকে কেরোসিন স্প্রে কাজ হল না, ব্লিচিং জল স্প্রে তাতেও কিচ্ছু হল না। রাতেই দাসপুরের ওই শিক্ষক অরিন্দম সামন্তের বাড়িতে পৌঁছালেন বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী দলের অন্যতম সদস্য মলয় ঘোষ। সুকৌশলে বাইক থেকে উদ্ধার করা গেল সেই ভয়ানক বিষধর ওই চন্দ্রবোড়াটিকে। একটা সাপ মানুষের নজর এড়াতে বাইকের মধ্যে ঢুকে আত্মগোপন করবে?

বাইকের বাম দিকে সামান্য ভাঙা ছিল সেই অংশ দিয়েই সাপটিকে দেখতে পেয়েছিলেন অরিন্দম বাবু। ওই ভাঙা অংশ না থাকলে? সাপটি নজরে না এলে? ওই রাতে এই বাইকে চড়েই তো তাদের দাসপুর থানার কালী পুজোতে যাওয়ার কথা ছিল। অরিন্দম বাবু জানালেন মলয় বাবু না এলে বাকি রাতটাও জেগেই কাটাতে হতো। Photo Courtesy- Representative (Meta AI)

চন্দ্রবোড়া সাপের কিছু বৈশিষ্ট্য হল- চন্দ্রবোড়া সাপ খুব দ্রুতগতিতে ছোবল মারে, যা মানুষের জন্য বিপজ্জনক। এর বিষ হেমোটক্সিন প্রকৃতির, যা রক্তের লোহিত কণিকাকে ধ্বংস করে এবং বিভিন্ন অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

চন্দ্রবোড়া সাপ নিশাচর, তবে এটি দিনেও কামড়াতে পারে। এটি ঘাস, ঝোপ, বন, ম্যানগ্রোভ ও ফসলের ক্ষেতে বাস করে। চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হতে পারে, তাই এর থেকে সাবধান থাকা প্রয়োজন। Input- Mijanur Mahaman