Sundarban Royal Bengal Tiger: অন্ধকারেই চলে যাচ্ছে প্রাণ! বাইরে বেরোলেই চুপিসারে তুলে নিতে পারে বাঘ! কী অবস্থা কুলতলির? দেখুন

ম্যানগ্রোভের জঙ্গল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকা গ্রামের বাসিন্দাদের প্রতি পদে বাঘের আতঙ্ক তাড়া করে। সেই গ্রামের রাস্তাতে বিদ্যুতের স্তম্ভ আছে। কিন্তু অভিযোগ, আলো জ্বলে না। ফলে সন্ধ্যা নামতেই গোটা গ্রাম চলে যায় অন্ধকারের আড়ালে।

রাস্তায় বেরনো দায় হয়ে দাঁড়ায়। আর গ্রামবাসীদের গ্রাস করে থাকে আতঙ্ক। কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ এলাকার বেশ কয়েকটি জনপদের চিত্রটা একই।

বাসিন্দাদের বক্তব্য, সূর্য ডোবার পর জঙ্গল ঘন অন্ধকারে ঢেকে যায়। গ্রামও ডুবে থাকে নিকষ আঁধারে। সেই অন্ধকারের সুযোগই নেয় বাঘ।

অবস্থা শোচনীয় হলেও সমাধান অধরা। এমনকী প্রশাসনও পড়ে রয়েছে আঁধারে। পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, 'আলো বসানোর পর বিদ্যুতের বিল মেটানো খুবই ব্যয়সাধ্য। পঞ্চায়েতের পক্ষে তা সম্ভব নয়। আমরা বিকল্প হিসেবে সৌরবিদ্যুতের কথা ভাবছি।

মৈপীঠের পেটকুলচাঁদ ব্রিজ সংলগ্ন পূর্ব গুড়গুড়িয়া গ্রাম। সেই গ্রামেই বাঁধের রাস্তার পাশে চার জানুয়ারি বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল। তখন প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়। এই বাঁধের রাস্তা থেকে কিছুদূর এগলেই রয়েছে কংক্রিটের রাস্তা।

সে রাস্তায় বৈদ্যুতিক পোস্ট আছে। কিন্তু আলো জ্বলে না। কয়েকদিন দিন আগে বাঘের পায়ের ছাপে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সেই গ্রামের রাস্তাতেও বিদ্যুতের পোস্ট রয়েছে। এখানেও আলো জ্বলে না। এই এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা মৎস্যজীবী। তাঁরা বলেন, পোস্টে আলো না থাকায় সন্ধ্যার পর কেউ রাস্তায় যান না। খুব জরুরি কাজেও ঘরবন্দি থাকতে হয়।

খুব বিপদে পড়লে মানুষ লক্ষ, মোমবাতি নিয়ে বেরন। ঘন অন্ধকার থাকায় গোটা রাত কাটে ভয়ে। যে কোনও সময় বাঘ লোকালয়ে ঢুকে আক্রমণ চালাতে পারে। এই আতঙ্ক তাড়া করে সবাইকে। গ্রামের এক মহিলা বলেন, 'ভোটে আসে ভোট যায়।

নেতারা রাস্তায় আলো দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যান। কিন্তু কিছুই করেন না। আমরা আতঙ্কে দিন কাটাই।' অন্য এক বাসিন্দার বক্তব্য, সমস্যা সমাধানে বারবার পঞ্চায়েতকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজই হয়নি। ভোটের সময় ছাড়া আমাদের দিকে দেখার সময়ই নেই প্রশাসনের।